কোচবিহার তৃণমূলের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ৪ বিধায়ক! মুকুল রায়ের দাবি ঘিরে শুরু জল্পনা
ভোটের ফল বেরনোর পরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কোচবিহার তৃণমূল। এদিনের দলের জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে বেশ কিছু নেতার অনুপস্থিতির পর এই কথাই তুলে ধরছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ভোটের ফল বেরনোর পরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের দলের জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে বেশ কিছু নেতার অনুপস্থিতির পর এই কথাই তুলে ধরছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও এইসব নেতার গড়হাজিরাকে ভাঙন বলতে রাজি নন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গত ডিসেম্বরেও যুব তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যোগ দিয়েই হয়ে গিয়েছেন সাংসদ। তাঁর সঙ্গে বর্তমান সভাপতির বিবাদ ছিল দীর্ঘদিনের।
এদিনের বৈঠকে যাঁরা অনুপস্থিত
এদিন সকালে দলের জেলা দফতরে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে বৈঠকে হাজিরা দেননি সদ্য প্রাক্তন হওয়া সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়। যে চার বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না তাঁরা হলেন, কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মাথাভাঙার বিধায়ক তথা দফতর বিহীন মন্ত্রী বিনয় বর্মন, তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজলে করিম মিয়া এবং দিনহাটার বিধায় উদয়ন গুহ। বিধায়কদের তরফে জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবি উঠেছে বলেও সূত্রের খবর।
জেলা সভাপতির দাবি
তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য বৈঠকে যোগ দেননি উদয়ন গুহ। দফতর বিহীন মন্ত্রী বিনয় বর্মন কলকাতায় থাকায় বৈঠকে যোগ দেননি। যদিও পরে জানা যায় সকালে কোচবিহারেই ছিলেন বিনয় বর্মন। তিনি বিকেলে কলকাতার দিকে রওনা হয়েছেন। নিজের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, তাকে সভাপতি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, যাঁরা পদত্যাগ দাবি করেছেন, তাঁরা নিজেদের এলাকায় ভোটের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেননি।
মুকুল রায়ের দাবি
বিজেপি নেতা মুকুল রায় রবিবারই দাবি করেছেন, রাজ্যের কমপক্ষে ৫০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এরই মধ্যে কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতির ডাকা বৈঠকে বিধায়করা যোগ না দেওয়ায় দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।