ছাত্র প্রহসন মালদহ কলেজে, এক বেঞ্চে পরীক্ষার্থী ৫, বারান্দা-সাইকেল স্ট্যান্ডেও পরীক্ষা
একে কী-ই বা বলা যায়! প্রহসন ছাড়া আর কী! এক বেঞ্চে পরীক্ষা দিচ্ছেন পাঁচজন! কেউ বসেছেন বারান্দার মেঝেতে, আবার কেউ সাইকেল স্ট্যান্ডে। কিন্তু সবাই পরীক্ষা দিচ্ছেন।
মালদহ, ২৮ এপ্রিল : একে কী-ই বা বলা যায়! প্রহসন ছাড়া আর কী! এক বেঞ্চে পরীক্ষা দিচ্ছেন পাঁচজন! কেউ বসেছেন বারান্দার মেঝেতে, আবার কেউ সাইকেল স্ট্যান্ডে। কিন্তু সবাই পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর পরীক্ষা যখন এভাবে, দেদার টোকাটুকি তো হবেই, হচ্ছেও। তাতে কার কী! বরং বেশ মজাই হল পরীক্ষার নামে।
পরীক্ষাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করে দেওয়ার এই ঘটনা মালদহ কলেজে। মালদহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এই ঘটনার জন্য পরোক্ষে দায়ী করছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কেই। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়েই যত গোল। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাদানুবাদের মধ্যেই এই পরীক্ষায় গটে গেল নজিরবিহীন ঘটনা।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মেনে পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ওই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কোনওমতেই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাগ্রহণ করা যাবে না। এইভাবে পরীক্ষা গ্রহণ না করে তা স্থগিত রাখার বহু চেশ্টা করা হয়। শেষপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনড় থাকয় পরীক্ষা হয়।
এদিন বাংলা কম্পালসারি পরীক্ষা ছিল মালদহ কলেজে। মোট ৪ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী। বিপুল সংখ্যক ওই পরীক্ষার্থীকে বসানোর কোনও জায়গা ছিল না কলেজে। সেই কারণেই এক বেঞ্চে পাঁচজন করে বসানো হয়। তবু স্থান সঙ্কুলান না হওয়া বারান্দায় মেঝেতে বসেই পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। সাইকেল স্ট্যান্ডেও পরীক্ষার্থীদের বসানো হয়। সুযোদ যখন দেদার, তখন নকল করার 'স্ফুর্তি' কে না নেবে। তাই দেদার নকলও চলে এদিন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম সরকার, এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের কিছু করার ছিল না। আমরা পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়েছি। সাড়ে চারহাজার পরীক্ষার্থীকে জায়গা দেব কী করে! কেউ কথা শোনেনি। আমরা ওয়েব ক্যামেরায় সব দেখেছিষ কিন্তু নকল রোখার কোনও ব্যবস্থাই আমাদের হাতে ছিল না।