করোনায় জানানো হচ্ছে না সঠিক সংখ্যা! রাজ্যে মানুষকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন মমতা, তোপ নাড্ডার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) আইনের শাসনে মান্যতা দেন না। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। (jp nadda)। নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই, বাংলার মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

আইন মানেন না মুখ্যমন্ত্রী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলা মানেন না। অভিযোগ করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, যে ধরনের কাজ উনি করছেন তা পশ্চিমবঙ্গের জন্য তো ক্ষতিকারক বটেই সেইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রাঙ্গণেও তা যথেষ্ট ক্ষতিকর।

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি
তিনি বলেন, এই কারনেই ভারতের জনগণকে বিজেপি বোঝাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ এরকম পরিস্থিতি হলেও তারা জানেন ভারতীয় জনতা পার্টি সেখানে ক্ষমতায় আসবে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হবে, মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি ফিরে আসবে , মানুষ মুক্ত গণতন্ত্রে নিঃশ্বাস নেবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন উন্নতি হবে, পুলিশের দলদাসের মত আচরণ বন্ধ হবে, আয়ুষ্মাণ ভারতের সুবিধা পাবেন মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সংকীর্ণ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শুধুমাত্র মোদীর আনা প্রকল্প আয়ুষ্মাণ ভারতকে পশ্চিমবঙ্গে লাগু হতে দেননি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন মমতা
তিনি বলেন, মমতা দিদি, আপনি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাংলার মানুষকেই বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন। আপনাকে কে ক্ষমা করবে !

করোনায় মৃত্যুতে সঠিক সংখ্যা জানা যায় না
জেপি নাড্ডার অভিযোগ, যেমন কোনও আইন বা প্রকল্প রাজ্যে লাগুতে বাধা দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই করোনায় মৃতের সংখ্যা, ডেঙ্গু আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানানো হয় না এই রাজ্যে। এইভাবে কি দেশ চলে প্রশ্ন করেছেন তিনি। কেন্দ্রের থেকে টিম পাঠালে তাকে অপমান করা এগুলো কি আইনের শাসন? এটাই কি ফেডারালিজম প্রশ্ন করেছেন তিনি?
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে। রাজ্যের হিসেবে দেখানো হচ্ছে রাজ্যে আক্রান্তের থেকে সুস্থ হওয়াদের সংখ্যা বেশি। তাহলে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পাচ্ছেন না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন রাতে করোনা আক্রান্ত ও মৃতদের সম্পর্কে যে রিপোর্ট আপলোড করা হয়, তা কি মুখ্যমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেই প্রশ্নও তুলছেন বিরোধীরা। কেননা, সাধারণভাবে, প্রতিদিন রাত আটটার আশপাশে রিপোর্ট আপলোড করা হলেও, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য যেদিন সম্পন্ন হয়, সেদিন কেওড়াতলায় ব্যস্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রিপোর্ট আপলোড করতেও কিন্তু প্রায় সাড়ে নটা হয়ে গিয়েছিল। তথ্য দিয়ে এমনটাই দাবি বিরোধীদের।