স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তবে ফুসফুসের সংক্রমণ ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের
স্বস্তির খবর। স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সকালে হঠাত করেই অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। শারীরিক অবস্থার কার্যত কিছুটা অবনতি ঘটতে থাকে। এরপরেই ডাক্তাররা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা ব
স্বস্তির খবর। স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সকালে হঠাত করেই অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। শারীরিক অবস্থার কার্যত কিছুটা অবনতি ঘটতে থাকে। এরপরেই ডাক্তাররা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা বলেন। হাসপাতালে আসতে রাজিও হয়ে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এই মুহূর্তে উডল্যান্ড হাসপাতালের ৩১৩ নম্বর ঘরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে বুদ্ধবাবুর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও চিন্তার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা।
টুলকিট মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা, পুলিশি হানার পর জল গড়িয়েছে টুইটারের সদর দফতরেও
ফুফফুসে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে
হাসপাতালে পৌঁছতেই বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। তাঁর ফুসফুসে নানা সমস্যা ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার প্রথম বুলেটিনে এমনটাই জানিয়েছেন উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, বুদ্ধবাবুর বুকের সিটি স্ক্যান হয়েছে। আগে থেকেই যেহেতু তাঁর সিওপিডির সমস্যা রয়েছে, সবদিক নজর রেখেই চিকিৎসা এগোবে। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন নামতে শুরু করে। চিকিৎসকরা কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
আচমকা কমে গেল অক্সিজেন লেভেল
করোনাকে জয় করে সেরেই উঠছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। স্থিতিশীলও ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আচমকা কমে গেল অক্সিজেন লেভেল। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মাস কয়েক আগে হাসপাতালে চিকিৎসা সেরে ফিরেছেন। তারপরই মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু তিনি কিছুতেই হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। ফলে বাড়িতেই সবরকম ব্যবস্থা করে শুরু হয়েছিল চিকিৎসা। স্বাভাবিকই চলছিল সব। অক্সিজেন স্যাচুরেশনও মাত্রার মধ্যেই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আচমকাই অবস্থার অবনতি। নেমে গিয়েছে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যায় ৮০-র কাছাকাছি। আর তাই কোনও রিস্ক নিতে চান না প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার।
মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে
ইতিমধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসাতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের মাথায় রয়েছেন কৌশিক চক্রবর্তী। এছাড়াও রয়েছেন চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল প্রমুখ। কৌশিক চক্রবর্তী জানান, বুদ্ধবাবুর বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। ওনার আগে থেকেই সিওপিডি রয়েছে। সে কারণে ফুসফুসে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। সেগুলি ক্রমবর্ধমান বলেই জানান তিনি। কৌশিক চক্রবর্তীর কথায়, "ফুসফুসে ওনার বেশি কিছু সমস্যা পেয়েছি। রেডিওলজিস্টের সঙ্গে কথা বলছি। এই মুহূর্তে ওনার অক্সিজেন ঘাটতি রয়েছে। আমাদের বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে। এখন অক্সিজেন, বাইপ্যাপ, অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। কোভিডের চিকিৎসার অন্যতম য়ে স্তম্ভ স্টেরয়েড তাও দেওয়া হচ্ছে।"
করোনামুক্ত মীরা ভট্টাচার্য
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুদ্ধদেব বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করালেও মীরাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। গত কয়েকদিন হাসপাতালেই ছিলেন মীরাদেবী। সোমবারই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন মীরা। তবে আগামী ৭ দিণ তাঁকেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন তিনি।