সাবাশ মমতা! জয় শ্রীরাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে গড়িয়াহাটে অভিনব প্রতিবাদ কবীর সুমনের
সাবাশ মমতা! জয় শ্রীরাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে গড়িয়াহাটে অভিনব প্রতিবাদ কবীর সুমনের
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জয় শ্রীরাম (jai shree ram) ধ্বনির প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পদক্ষেপের সমর্থনে এদিন গড়িয়াহাটে অভিনব প্রতিবাদ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা সঙ্গীতকার কবীর সুমন (kabir suman)। কবীর সুমনের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন দেবলীনা দত্ত এবং সায়নী ঘোষও।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিবাদ মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেতাজি ভবন থেকে তিনি চলে যান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে। সেখানে ভাষণ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরেই, দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী পোডিয়ামে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি তাঁকে অপমান করা হয়েছে। কাউকে ডেকে নিয়ে অপমান করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর প্রতিবাদ করতে গিয়েই তিনি এই অনুষ্ঠানে কোনও ভাষণ দেবেন না। তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। অনুষ্ঠানটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয় বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান কলকাতায় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই ছন্দপতনে সবাই হকচকিয়ে যান। যদিও বিজেপির তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সংস্কতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের নাম ঘোষণার পরেও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান নয়, বাংলার মানুষের অপমান বলেও মন্তব্য করেছিল বাম কংগ্রেস। যদি বামের আরও একভাপ এগিয়ে বলেছিল মুখ্যমন্ত্রীই সরকারি সব অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন। অনুষ্ঠানে সেই ফল পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার পাশে থেকে ফেসবুক পোস্ট সুমনের
এদিন সকালে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন কবীর সুমন। তিনি লেখেন, সাবাশ মমতা, জয় শ্রীরাম নয়, এই বাংলায় কখনও নয়। জয় বাংলা, জয় মমতা, জয় বাংলা, জয় মমতা।
গড়িয়াহাটে প্রতিবাদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের পাশাপাশি এদিন রাস্তায়ও নামেন কবীর সুমন। গড়িয়াহাট মোড়ে জয় বাংলা লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। এই প্রতিবাদকে সত্যাগ্রহ বলে বর্ণনা করেন তিনি। কবীর সুমন বলেন, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে নয়, তিনি রাস্তায় নামলেন সাধারণ নাগরিক হিসেবে। তিনি আরও বলেন, একজনকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে অপমান করার বিরুদ্ধেই তিনিু এই অহিংস পথ বেছে নিয়েছেন।
অতীতেও জয় শ্রীম নিয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন মমতা
তবে শুরু শনিবারের অনুষ্ঠানে নয়, অতীতে কনভয়ে গাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের চুক্তি ভঙ্গ চিনের! ভারতের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে পূর্ব লাদাখে আরও আগ্রাসী বেজিং