বিজেপি ছেড়ে 'প্রাক্তন সভাপতি' কি তৃণমূলে ফিরছেন! মমতার চটজলদি সিদ্ধান্তে জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপি ছেড়ে বিপ্লব মিত্র কি তৃণমূলে ফিরছেন! মমতার চটজলদি সিদ্ধান্তে জল্পনা তুঙ্গে
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে হারের পরই ভাঙন ধরেছিল দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসে। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অপসারিত হয়েছিলেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন হেরে যাওয়া সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের কি বিপ্লববাবু ফিরছেন তৃণমূলে? জল্পনা তুঙ্গে।
এক ফেসবুক বার্তাতেই জল্পনার পারদ চড়েছে
সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলের পোস্ট করা এক ফেসবুক বার্তাতেই জল্পনার পারদ চড়েছে। তিনি পোস্ট করেছেন, তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন বিপ্লব মিত্র। জেলায় ফের জোয়ার আসতে চলেছে তৃণমূলে। এই পোস্ট ঘিরেই জল্পনার পারদ চড়েছে। আর তার থেকেও বড় কথা, বিপ্লব মিত্রকে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলছেন তৃণমূলের অনেকেই।
ভোটে হেরে কোপ পড়ে ‘সভাপতি’র বিরুদ্ধে
অর্পিতা ঘোষ ভোটে হেরে জেলা তৃণমূলের সভাপতির দিকেই প্রকারান্তরে আঙুল তুলেছিলেন। অভিযোগ ছিল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ এতটাই তীব্র ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত কড়া ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে।
২০২১-এ নয়া সমীকরণ দক্ষিণ দিনাজপুরে
এখন ২০২১০-এর আগে ফের তাঁকে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়েছে। তিনি সম্মানজনক শর্তে তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলেও মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা। শঙ্কর চক্রবর্তীকে মাধ্যম করে তাঁকে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরুও হয়েছে বলে অন্দরের খবর। তৃণমূল এখন ২০২১-এ নয়া সমীকরণের গল্পে মশগুল!
বিপ্লবকে নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে
এই অবস্থায় তৃণমূলের অন্দরে আবার শুরু হয়েছে গোর দ্বন্দ্ব। বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছেলে ফেসবুকে বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে পোস্ট করা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলেরই একাংশ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ
এই ঘটনায় অভিযোগ তিন জেলা কার্যকরী সভাপতি শুভাশিস পালের দিকে। অর্পিতা ঘোষ সভানেত্রী হওয়ার পর তাঁকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছিল। আর বিপ্লব মিত্রের সময়ে তিনি ছিলেন কোণঠাসা। বিপ্লব মিত্র দলে ফিরে এলে তিনি আবার পিছনের সারিতে চলে যেতে পারেন, এমনটা মনে করেই এই হামলা বলে অভিযোগ।
মমতার সিদ্ধান্তে জল্পনার পারদ আরও চড়েছে
তারপর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বিধায়ক গৌতম দাসকে কার্যকরী সভাপতি ঘোষণা করেছেন। এমনিতেই দুজন কার্যকরী সভাপতির পর পের কেন একজনকে কার্যকরী সভাপতি, তা নিয়েও জল্পনার পারদ চড়ছে। নেত্রীর কথা শিরোধার্য বলে জানিয়েছেন অর্পিতা। কিন্তু ভিতরে কোন সমীকরণ ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে ধন্দ অনেকেই।
বাংলায় প্রত্যেক সাধারণ মেয়েই মমতা! চুরি পরে বসে নেই তারা, দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের