শুভেন্দুর সাক্ষাৎপ্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ! বিজেপি ছেড়ে কি তবে তৃণমূলে ভিড়তে চেয়েছিলেন
বিজেপিতে কোণঠাসা হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্মণ শেঠ চেয়েছিলেন শাসক দলে নাম লেখাতে। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পর্যন্ত যোগাযোগ করেন।
বিজেপিতে কোণঠাসা হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্মণ শেঠ চেয়েছিলেন শাসক দলে নাম লেখাতে। একদা বৈরীতা থাকলেও রাজনীতিতে কেউ শত্রু নয়, এই ভাবনা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে। সেই কারণেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পর্যন্ত যোগাযোগ করেন বলে লক্ষ্মণের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী ও লক্ষ্মণ শেঠের। সেই যুদ্ধে লক্ষ্মণকে পরাজিত করে নন্দীগ্রামে নতুন সূর্যের উদয় ঘটিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ছিল লক্ষ্মণের পতনের শুরু। তারপর সিপিএম শাসনের অবসান ঘটেছে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে পাথেয় করে।
শুধু সিপিএমের পতনই নয়, লক্ষ্মণ শেঠও গুরুত্ব হারিয়েছেন। তারপর যে দলের সেবা করে নন্দীগ্রামের খলনায়ক বনেছিলেন, সেই দল থেকেই বহিষ্কৃত হন। যোগ দেন বিজেপিতে। সেখানেই পসার বৃদ্ধি করতে না পেরে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন লক্ষ্মণ। এর মধ্যে তিনি গুরুত্ব বাড়াতে যোগাযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। যাঁর হাতে অস্ত গিয়েছিলেন লক্ষ্মণ, তাঁর স্মরণ নিতেও কুণ্ঠিত হননি তিনি। তবে শুভেন্দু সাড়া দেননি লক্ষ্মণের ডাকে।
[আরও পড়ুন: আর একা নয়, 'হাত' ধরে চলবেন লক্ষ্মণ! বিজেপিতে মধুচন্দ্রিমা শেষে অপেক্ষা 'সবুজ' সংকেতের ]
তাই তিনি কংগ্রেসে যোগাযোগ করেছেন। কংগ্রেসের তরফে সবুজ সংকেতও প্রায় মিলেছে বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, তৃণমূল তাঁর গায়ে সেঁটে দিয়েছে নন্দীগ্রাম খলনায়কের তকমা। তাই তৃণমূলে সরাসরি নাম লেখানোর উপায় নেই। কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকতে হলে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র পথ। সেই কারণেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
[আরও পডুন:সৌজন্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার! জন্মদিনে মোদীকে শুভেচ্ছা, কী বার্তা দিলেন মমতা]
[আরও পড়ুন:তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের উপস্থিতিতে তাঁর উপর হামলা, কাঁথি-কাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ]