আর একা নয়, ‘হাত’ ধরে চলবেন লক্ষ্মণ! বিজেপিতে মধুচন্দ্রিমা শেষে অপেক্ষা ‘সবুজ’ সংকেতের
বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁর। দু-বছরের মধুচন্দ্রিমার পর দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তোপ দেগে লক্ষ্মণ শেঠ বিজেপি ছেড়েছেন ইতিমধ্যেই। এবার জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁর। দু-বছরের মধুচন্দ্রিমার পর দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তোপ দেগে লক্ষ্মণ শেঠ বিজেপি ছেড়েছেন ইতিমধ্যেই। এবার জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবার কোন দলে ভিড়বেন একদা হলদিয়ার ডাকসাইটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যেই অবশ্য ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে পরিষ্কার তাঁর আগামী চলার পথ।
বিজেপি ছাড়ার পর বলেছিলেন, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি, কোন দলে যাব। তবে অনুগামীদের কথাকে গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিনি কংগ্রেসে যোগাযোগ করেছেন। কংগ্রেসের তরফে সবুজ সংকেতও প্রায় মিলেছে বলেই জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর যে তৃণমূলে যেতেও আপত্তি নেই, সেই ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন লক্ষ্মণ শেঠ।
লক্ষ্মণ শেঠ ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, বাংলার শাসকদল যদি ছাড়পত্র দেয়, তাঁর তৃণমূলে যোগ দিতে কোনও আপত্তি নেই। তিনি এটাও জানেন, তৃণমূল তাঁর গায়ে সেঁটে দিয়েছে নন্দীগ্রাম খলনায়কের তকমা। তাই তাঁর আক্ষেপ, তৃণমূলে সরাসরি নাম লেখানোর উপায় নেই। কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকতে হলে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র পথ। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে লক্ষ্মণের ঘনিষ্ঠ মহলে। কিন্তু শুভেন্দুর সাড়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: বাগরিতে ক্ষোভের আগুনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ শুনলেন মন্ত্রী, মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ]
সেই কারণেই তিনি কংগ্রেসে যাওয়ার ব্যাপারে একপ্রকার মনস্থ করে ফেলেছেন বলে আভাস দিয়েছেন তাঁর কথাবার্তা। তিনি জানান, কংগ্রেস জাতীয় দল। জাতীয়স্তরে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে। তিনি স্বীকার করে নেন, জাতীয় ও প্রদেশস্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। গোটা বিষয়টিই তিনি অনুগামীদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান লক্ষ্মণবাবু। তিনি জানান, কয়েকদিনের ভিতরেই সব স্থির হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: সৌজন্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার! জন্মদিনে মোদীকে শুভেচ্ছা, কী বার্তা দিলেন মমতা]
কিন্তু যে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করেছিল, সেই সিপিএম তো এখন প্রদেশ কংগ্রেসের দোসর। কংগ্রেস কি ঠাঁই দেবে তাঁকে। সে বিতর্ক থাকলেও, প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। তা স্বীকার করেছেন লক্ষ্মণও। তারপর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও জানিয়েছেন লক্ষ্মণের সঙ্গে বৈঠকের কথা। তাঁকে দলে নিতে কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের উপস্থিতিতে তাঁর উপর হামলা, কাঁথি-কাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ]