জঙ্গলমহল শান্ত করার দাবি করলেও, উত্তর অধরা অনেক প্রশ্নের, কী বলছেন ভারতী
সিআইডির নাগালের বাইরে ভারতী ঘোষ। সিআইডির দাবি যে প্রযুক্তিতে মাওবাদীদের ফোন ট্যাপ করা হত, সেই প্রযুক্তি পুরোটাই জানা ভারতীর। ফলে সেই সুযোগ নিচ্ছেন তিনি।
সিআইডির নাগালের বাইরে ভারতী ঘোষ। সিআইডির দাবি যে প্রযুক্তিতে মাওবাদীদের ফোন ট্যাপ করা হত, সেই প্রযুক্তি পুরোটাই জানা ভারতীর। ফলে সেই সুযোগ নিচ্ছেন তিনি। আর সেই সুযোগ নিয়েই বারবার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠাচ্ছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
[আরও পড়ুন: ভারতী ঘোষকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না এই তৃণমূল নেতা, কী বললেন ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলাকে]
সম্প্রতি হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, জঙ্গলমহল হাসছে, কেননা জঙ্গলমহলকে তিনি স্থিতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বারবারই বলেন জঙ্গলমহল হাসছে। সেই জঙ্গলমহলকে কার্যত শান্ত করার পুরো কৃতিত্বই নিয়েছেন ভারতী ঘোষ। তিনি বলেছেন, সেখানকার মানুষ বলবে এ সম্পর্কে। বাকিটা তিনি পরে বলবেন। তবে প্রকাশ্য সরকারি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে 'জঙ্গলমহলের মা' বলে সম্বোধন করা ভারতী ঘোষ অবশ্য এ সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
বারবারই ভারতী ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর এই হেনস্থা কাণ্ডের পিছনে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এমনও দাবি করেছেন প্রাক্তন এই আইপিএস। তবে এই অভিযোগের পিছনে বিস্তারিত কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে রাজি নন ভারতী ঘোষ।
পুলিশ অফিসারদেরও ভয় দেখিয়ে বিবৃতি দেওয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতী ঘোষ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিআইডি।
অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি এখনও বিষয়টি নিয়ে মিটমাটের অপেক্ষা করছেন ভারতী ঘোষ। না হলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলছে না তাঁর কাছ থেকে। বলা ভাল তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না।