ছাড় দেয়নি বিগ্রহকেও! ভারতীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি-র উত্তরে রহস্য
সিআইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়ির ঠাকুরের হারও ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন এসপি ভারতী ঘোষ। সিআইডির দাবি, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়নি।
সিআইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়ির ঠাকুরের হারও ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন এসপি ভারতী ঘোষ। সিআইডির দাবি, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। এরপর মুকুন্দপুরের নির্মীয়মান বাড়িতে হানা দেয় সিআইডির তদন্তকারী দল। নাকতলারই এনএসসি রোডের একটি বহুতলেও হানা দেয় সিআইডি। সেখানকার ফ্ল্যাটটি ভারতী ঘোষের ছেলের। কিন্তু কেউ না থাকায় সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে পারেনি সিআইডি।
কলকাতার বাইরে থাকা ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, কোনও রকম কাগজপত্র ছাড়াই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামীকেও হেনস্থা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তল্লাশি, তাতে ভারতী ঘোষের নাম নেই। তাহলে নাকতলায় ভারতী ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হল কেন, উঠছে প্রশ্ন।
নাকতলায় তল্লাশির কথা স্বীকার করলেও, সেটা কার বাড়ি, সেই প্রশ্নের জবাব দেননি ডিআইজি সিআইডি নিশাদ পারভেজ। তিনি বলেছেন, অভিযোগ, এসেছে, কোনও এক প্রাক্তন আইপিএস-এর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের দাবি(সিআইডি), অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-এর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়নি। তাঁর স্বামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়নি। নাকতলায় কার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে, ডিআইজি সিআইডি জানিয়েছেন, তাদের কাছে খবর ছিল ওই বাড়িতে তল্লাশি চালালে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, গয়না, টাকা উদ্ধার হতে পারে। বাড়িটি কার, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ভারতী ঘোষের আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নাকতলার বাড়ি থেকে যে সব দলিল ও কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ২৬ নম্বর ডিপিপি রোড, মোটাম্মারি আপান্না ভির রাজু, হাজব্যান্ড অফ ভারতী ঘোষ। দাসপুর থানার এক মামলার ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সেখানেই জানানো হয়েছে। সিআইডি-র বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন ভারতী ঘোষের আইনজীবী। সিআইডি কর্তার দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইপিএস মহলেও।
চন্দন মাজি নামে দাসপুরের ব্যবসায়ী ২০১৬-র নভেম্বরে প্রতারিত হওয়ার এতদিন পর কেন প্রশ্ন তুললেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ব্যবসায়ী চন্দন মাঝির অভিযোগে, ইতিমধ্যেই সোনার ব্যবসায়ী বিমল ঘোড়ইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।