বিজেপির 'মাস্টারস্ট্রোক' লকডাউনেও, বিরোধী শিবির ছেড়ে যোগদানের হিড়িক গেরুয়া শিবিরে
বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক লকডাউনেও,বিরোধী শিবির ছেড়ে দলে দলে যোগদান গেরুয়া শিবিরে
লকডাউন চলছে, কিন্তু রাজনীতির খেল থেমে নেই। তৃণমূলের মতোই বিজেপিও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে এক লহমায় অনেকটাই শক্তি বাড়াল বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। সিপিএম ছেড়ে তারা বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে পুরসভা ভোটের আগে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হল এই দলবদলে।
বিজেপি ছাড়া বিকল্প পথ নেই
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অনুপ রায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, দীর্ঘকাল ধরে এই গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএমের অধীনে। কিন্তু সিপিএম এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি এতদিন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই এই মুহূর্তে বিজেপি ছাড়া বিকল্প পথ নেই।
সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে শতাধিক
প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী সিপিএম থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর তারা নিজেরাই এসে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের স্বাগত জানান, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অনুপ রায় ও তাঁর সঙ্গী শতাধিক কর্মীর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন সাংসদ।
বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে লকডাউনের মধ্যেই
এদিনের অনুষ্ঠান বিজেপি সাংসদ ছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি বিনয় বর্মন। ছিলেন বিজেপির অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিরোধী দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে লকডাউনের মধ্যেই।
বাংলার মানুষ বিজেপিকেই বিকল্প ভাবছে
তাঁর কথায়, জেলা ও রাজ্যস্তরে বিজেপি ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করে চলেছে, সেই কারণেই বাংলার মানুষ বিজেপিকেই বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরে শক্তিবৃদ্ধিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যেই শুধু বউৎসাহ বাড়ছে না, গেরুয়া শিবিরের পথ প্রশস্ত হচ্ছে বাংলায়।
আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পরে সংক্রমিত নন কোনও করোনা আক্রান্ত, তথ্য উঠে এল গবেষণায়