মোহভঙ্গ দুবছরেই! বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরিয়ে পদ্ম-কাণ্ডে ইতি ঘটালেন লক্ষ্মণ শেঠ
লক্ষ্মণের পদ্ম-কাণ্ডে অবশেষে ইতি ঘটল। দু’বছরেই বিজেপিতে মধুচন্দ্রিমার শেষ হল লক্ষ্মণ শেঠের। রবিবার এক হাজারেরও বেশি কর্মীকে নিয়ে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা।
লক্ষ্মণের পদ্ম-কাণ্ডে অবশেষে ইতি ঘটল। দু'বছরেই বিজেপিতে মধুচন্দ্রিমার শেষ হল লক্ষ্মণ শেঠের। রবিবার এক হাজারেরও বেশি কর্মীকে নিয়ে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। লক্ষ্মণ শেঠের বিজেপি-ত্যাগে এখন নয়া জল্পনা তৈরি হয়েছে। গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাঁর নয়া দলে যোগদান নিয়ে।
রবিবার সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা করেন দল ছাড়ার কথা। তিনি বলেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদেই দল ছাড়ছি। বিজেপির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। ওই দলে কাজ করার মতো পরিবেশ নেই। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, এবার কোন দলে যেতে চান। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এবার কংগ্রেসের নাম লেখাতে পারেন লক্ষ্মণ।
সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেটা ছিল ২০১৬ সাল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেও হাওয়া তুলতে পারেননি সে অর্থে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর ভারত নির্মাণ পার্টি তৈরি করেন তিনি। পরে তা বিজেপির সঙ্গে মার্চ করে যায়।
তাঁকে দলে নেওয়া থেকে শুরু করে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই ছিল। সেই কারণেই দুবছর দলে থেকেও তিনি কোনও পদ পাননি। পাননি নির্বাচনে লড়ার টিকিটও। ক্রমেই দলে থেকে দূর্ সরে যেতে শুরু করেন তিনি। এদিন বিজেপি ছেড়ে তিনি বলেন, নতুন-পুরনো লড়াইয়ে কাজ করতে পারিনি। এই দুই বছরে আমার মনে হয়েছে, বিজেপি মানুষের কথা ভাবে না। বিজেপিতে থেকে আমি রাম-রহিমের মধ্যে বিভেদ বাঁধাতে পারব না। তাই দল ছাড়ছি। ফের নতুন করে শুরু করতে চাই। পাশে থাকতে চাই মানুষের।