'বাজার' করতে বেরনো টিমকে 'ঘাড়ে ধাক্কা'! পিকের কাজের পদ্ধতি 'ফাঁস' প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের
প্রথমে বলা হয়েছিল আপনি সৎ, তৃণমূলে যোগ দিন। প্রৌঢ় মানুষটির বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে বলা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে বলছি। কিন্তু এরপরেই বেরিয়ে পড়ে আসল চিত্রটা। বলা হয়, টাকা পয়সার অভাব হবে না।
প্রথমে বলা হয়েছিল আপনি সৎ, তৃণমূলে যোগ দিন। প্রৌঢ় মানুষটির বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে বলা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে বলছি। কিন্তু এরপরেই বেরিয়ে পড়ে আসল চিত্রটা। বলা হয়, টাকা পয়সার অভাব হবে না। বড় পদও পাবেন। তবুও তাঁকে দরকার, কেননা তিনি সৎ।
সীমান্ত ও উপকূলের ১৭৩ টি জেলাকে বাড়তি গুরুত্ব! নিয়োগ হবে ১ লক্ষ এনসিসি ক্যাডেট, ঘোষণা মোদীর
প্রথমে না বলেও পরে বাড়িতে আমন্ত্রণ প্রশান্ত কিশোরের টিমকে
ধূপগুড়ির ১০ বছরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রথমটায় না বলেও, পরে ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বলেন পারলে বাড়িতে আসুন। প্রাক্তন বিধায়ককে জানানো হয়, জলপাইগুড়ির দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তিনিই যাবেন। আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা হলেও, প্রশান্তের টিমের হয়ে কাজ করছেন জলপাইগুড়িতে।
২ ব্যক্তি হাজির টালি দেওয়া মাটির বাড়িতে
কথা মতো জলঢাকার পাড়ে প্রবীণ লক্ষীকান্ত রায়ের টালি দেওয়া মাটির বাড়িতে হাজির ২ ব্যক্তি। মুখে একটাই কথা আপনি তৃণমূল আসুন। তাদের ভীষণ প্রয়োজন। দিদিও চান।
অতিথি অ্যাপ্যায়ন করার পর ঘরের ভিতরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ আগন্তুকদের
পান-সুপারি দিয়ে প্রথমে অতিথি অ্যাপায়ন করেন লক্ষীকান্ত রায়। এরপরে অতিথিদের নিয়ে বাড়ির গাছতলায় বসতে চাইলেও আগন্তুকরা বলেন ঘরের ভিতরে গিয়ে কথা বলবেন। সেই সময় সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়কের মনে প্রশ্ন কমিউনিস্ট পার্টির লোকের সঙ্গে কেন গোপন কথা। আর আগেভাগে ঘরে ঢুকে অবাক পিকের টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেওয়া ২ ব্যক্তি। ১০ বছরের বিধায়ক আর ১৫ বছর পঞ্চায়েত সমিতিতে থাকা নেতার কিনা মাটির বাড়ি আর টালির চাল।
দুপক্ষের কথোপকথন
২ ব্যক্তি জানতে চান, এতবছর রাজনীতিতে থেকেও কেন এমন অবস্থা। সেই সময় প্রাক্তন বিধায়কের উত্তর, তাদের কি চোর ভাবেন। পাল্টা তাঁর আক্রমণ যেদলের হয়ে কাজ করতে নেমেছেন সেই দলে এইসব হয়। নাছোড় দুই ব্যক্তি বলেন, চারিদিকে দুর্নীতি। তিনি যেন তৃণমূল যোগ দেন। তাঁর মতো সৎ নেতার তৃণমূলে প্রয়োজন। তবে সেখানে গেলে টাকা পয়সার অভাব হবে না। ভাল পদও পাবেন তিনি। সেই সময় প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের মাথাই অসৎ, তাই কর্মীরাও সেই পথে।
প্রৌঢ় নেতার ব্যাখ্যা
সেই
সময়
প্রৌঢ়
নেতা
তাঁর
রাজনীতিতে
জড়িয়ে
পড়ার
সময়ের
কথা
বলেন।
তিনি
বলেন,
১৯৬৭
সালে
বিপিএলএফ-এর
সঙ্গে
যুক্ত
হন।
একে
একে
যুক্ত
হয়েছেন,
ছাত্র,
যুব
ও
কৃষক
আন্দোলনের
সঙ্গে।
কিন্তু
শরীর
না
দেওয়ার
তিনি
অব্যাহতি
নিয়েছেন।
মতাদর্শ
থেকে
নয়।
তিনি
বলেন,
আর
যাই
হোক
গরু,
ছাগল
তিনি
নন।
তিনি
কমিউনিস্ট।
কিন্তু
স্থানীয়
ব্যাখ্যা,
টাকার
থলি
নিয়ে
বাজার
করতে
বেরিয়ে
যেন
ঘাড়
ধাক্কাই
খেতে
হল
পিকের
টিম
বলে
ফোন
করা
বাড়িতে
যাওয়া
দুই
ব্যক্তিকে।
{quiz_283}