বিজেপিমুক্ত করতেই সিপিএমের মোহত্যাগ, প্রাক্তন পুরপ্রধান যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে
বিজেপিমুক্ত করতেই সিপিএমের মোহত্যাগ, প্রাক্তন পুরপ্রধান যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে
প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি বিদায়ী পুরপ্রধানের। তারপরই কালক্ষেপ না করে তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট। ভোট ঘোষণা হতেই বিভিন্ন পুরসভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে রাজনৈতিক দলগুলি। তেমনই সিপিএম তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বিদায়ী পুরপ্রধান ব্রাত্য হতেই দলত্যাগ করলেন।
পুরভোটের দামাম বেজে গিয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে চার পুর নিগমে। তারপর বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি। এই ফেব্রুয়ারিতেই দু-দফায় পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। তৃণমূল যেমন দার্জিলিং বাদে বাকি সব পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে, তেমনই সিপিএমও বেশ কিছু পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেতেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরসভা ভোটের মুখে প্রার্থী না করায় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাঁকুড়া সোনামুখী পুরসভার বিগত ১০ বছরের প্রাক্তন পুরপ্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক। এবার প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলার তিন পুরসভা বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী- এই তিন পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন সিপিএম। দলরে কাছে ব্রাত্য হয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়। এই দলবদলে তৃণমূল শক্তিশালী হবে বলে তিনি দাবি করেন।
২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের পুরপ্রধান ছিলেন কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়ে জানান, ভারততে যদি বিজেপিমুক্ত করতে হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে। তিনি সিপিআইএমএলের দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন। তিনিও বলেছিলেন বিজেপিমুক্ত ভারত চাইলে সব দলকে এককাট্টা হতে হবে।
কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই যদি প্রথম শর্ত হয়, তবে দ্বিতীয় শর্ত অবশ্যই উন্নয়ন। গত ১০ বছরে যেভাবে উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হয়েছে, তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আশু কর্তব্য। তাই তৃণমূলের কংগ্রেসের সাধারণ সৈনিক হিসেবে আমি যোগ দিয়েছি। সিপিএমের প্রতি আর কোনও মোহ নেই। সব মোহ ত্যাগ করে চলে এসেছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, একেবারে খাঁটি কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়নের ধারা এ টু জেড আমাদের মুগ্ধ করেছে।