২০১৬ সালের পর হঠাৎ দিদির ফোঁটা নিতে কালীঘাটে মুকুল! পঞ্চায়েতের আগে বড় দায়িত্ব?
ভাইফোঁটা মানেই ব্যস্ত দিদি মমতা! নিজের ভাইয়েরা তো বটেই, আসেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। এমনকি দিদির বাড়িতে ভাইফোঁটার দিনে চমক থাকবে না তা হয় না। প্রত্যেকবারেই কার্যত কিছুনা কিছু চমক থাকেই। এবারও তা অন্যথা হল না। সকাল সক
ভাইফোঁটা মানেই ব্যস্ত দিদি মমতা! নিজের ভাইয়েরা তো বটেই, আসেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। এমনকি দিদির বাড়িতে ভাইফোঁটার দিনে চমক থাকবে না তা হয় না। প্রত্যেকবারেই কার্যত কিছুনা কিছু চমক থাকেই। এবারও তা অন্যথা হল না। সকাল সকাল কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়ে বঙ্গ বিজেপি। আর এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল ফিরে যান মুকুল।
আর এরপর যদিও একাধিক নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে! মুকুলের জন্যে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে মমতার হাতে ফোঁটা নিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক।
জায়গা করে নিয়েছিলেন মুকুল রায়।
করোনার জন্যে দীর্ঘ কয়েকবছর দিদি মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটা বড় করে হয়নি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট করে হয়েছে। এমনকি দীর্ঘদিন পর আজ কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটার উৎসব শুরু হলেও তালিকা ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। আর সেই তালিকাতে জায়গা করে নিয়েছিলেন মুকুল রায়।
২০১৬ সালে শেষবার!
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৬ সালে শেষবারের মতো ফোঁটা নিতে দিদি মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘ ছয়টা বছর কেটে গিয়েছে। এরপর বিজেপিতে কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। ফলে মমতার কাছে মুকুলের আর ফোঁটা নেওয়া হয়নি। লম্বা সময় পর ফের একবার কালীঘাটের বাড়িতে ফোঁটা নিতে আসলেন মুকুল। যা দেখে অনেকেই চমকে যান। সূত্রে খবর, দিদির বাড়িতে মুকুল যে আমন্ত্রিত তা অনেকেই জানতেন না। ফলে হঠাত করেই কালীঘাটে মুকুলের উপস্থিতি দেখে অনেকেই নাকি অবাক হয়ে যান বলে জানা যাচ্ছে।
মুকুল রায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুকুল রায়।যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠরা নিশ্চিত করেছে যে মুকুল রায় কালীঘাটে গিয়েছিলেন ফোঁটা নিতে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, নতুন করে তৃণমূলে সক্রিয় হচ্ছেন মুকুল রায়। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম বাংলা তাঁর হাতের মুখে চেনা। গত কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুকুল রায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। আর এরপরেই ফের কালীঘাটে ফোঁটা নিতে মুকুল। তাহলে কি পঞ্চায়েতে বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন তৃণমূল একদা এই চাণক্য! যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি শাসকদলের তরফে।
এমনকি আজ ফোঁটার মাঝে মুকুল রায় কিংবা তৃণমূল নেত্রীর কোনও কথা হয়েছে কিনা সেটাও স্পষ্ট নয় বলে জানা যাচ্ছে।