আম্ফান তাণ্ডবে স্তম্ভিত বিশ্ব, বাংলাকে সাহায্য করতে ৫ লক্ষ ইউরো দেওয়ার ঘোষণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শনে এসে শুক্রবারই বড় ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন ১ হাজার কোটি টাকার অনুদানের কথা। এবার বাংলার এই দুর্দশার দিনে স্তম্ভিত ইউরোপীয় ইউনিয়নও বড় ঘোষণা করল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার জানায়, আম্ফান বিধ্বস্ত মানুষের সাহায্যার্থে ভারতকে প্রাথমিক ভাবে পাঁচ লক্ষ ইউরো দেবে তারা।
পশ্চিমবঙ্গে আম্ফানে মৃত ৮৬
আম্ফান তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মৃত ৮৬, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। ওড়িশার বেশ কিছু অঞ্চল আম্ফানে বিপর্যস্ত। ইউ কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জানেজ লেনারসিক বলেন যে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মীরা করোনার মধ্যেও কাজ করবেন, তাদের বাঁচাতে তারা সচেষ্ট।
বাংলাদেশকেও ১১ লক্ষ ইউরা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এদিকে ভারতকে পাঁচ লক্ষ ইউরো দেওযার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকেও ১১ লক্ষ ইউরা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আম্ফান ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আম্ফানের রুদ্রমূর্তির সামনে বাংলাদেশকে সেভাবে পড়তে না হলেও সেদেশে ঘূর্ণিঝড়টি ব্যপক ক্ষতি করেছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সেদেশে। তাছাড়া মৃত্যুও হয়েছে ২০ জনের উপর।
১১০০ কোটি টাকার ক্ষতি বাংলাদেশে
২০ মে দুপুর থেকে রাজ্যে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় আমফান৷ এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আম্ফান৷ তা বাংলাদেশে গিয়ে শক্তি হারালেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ বাংলাদেশে মূলত সাতক্ষীরা, যশোর, নওগা, রাজশাহী, রংপুর সহ ২৬টি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ গাছ উপড়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় যশোর-বেনাপোল সড়ক৷ এখনও অবধি ২০ জন আমফানের দাপটে প্রাণ হারিয়েছেন ৷ কমপক্ষে ১১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা তৎপর এনডিআরএফ দল
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপর আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। দুই রাজ্যেরই ক্ষতির পরিমাণ অনেক। দুই রাজ্যকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে মরিয়া প্রশাসনও। ওড়িশার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা লাগবে বলে জানালেন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ডিরেক্টর জেনেরাল এস এন প্রধান।
রাজ্যে অতিরিক্ত দল পাঠাচ্ছে এনডিআরএফ
ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের যতদিন সাহায্যের প্রয়োজন হবে ততদিন এনডিআরএফ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আম্ফানের জেরে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজের জন্য রাজ্যের তরফে আরও চারটি দলের আবেদন জানানো হয়। সেই মতো ইতিমধ্যেই আরও চারটি দল পাঠানোর পাঠানো হয় রাজ্যে।
করোনা লকডাউনের এগজিট প্ল্যান কী? মোদী সরকারের সামনে এখন বিরোধীদের ১১টি দাবি পূরণের চ্যালেঞ্জ