করোনা সংক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গে গোটা গ্রাম গেল কোয়ারেন্টাইনে
করোনা সংক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গে গোটা গ্রাম গেল কোয়ারেন্টাইনে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে রাজ্যের একটি গ্রামের সবাই চলে গেলেন কোয়ারেন্টাইনে। নদিয়ার তেহট্টের ওই গ্রামের নাম বার্নিয়া। এইগ্রামের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সংক্রমণের জেরে। যাঁদের মধ্যে ২ টি শিশুও রয়েছে।
গ্রামের সবাই কোয়ারেন্টাইনে
বার্নিয়ার গ্রামবাসীরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার। গ্রামের সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা এবং মুদিখানার দোকানের সরবরাহকারীদের গ্রামে ঢুকতে বারণ করে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা গ্রামে স্যানিটাইজিং-এর কাজ করছেন, তাঁদের শুধুমাত্র অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
২ সপ্তাহের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, নিয়ম নেমে তাঁরা সবাই দুই সপ্তাহের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলবেন। যা করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য দফতর চিহ্নিত করেছে ৪৯ জনকে
দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে আসায় তেহট্টের পরিবারের আগে ও পাশে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গিয়েছে। কিন্তু শিয়ালদহ থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে যাওয়ায়, অনেককেই এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে তেহট্ট স্টেশন থেকে নেমে ওই পাঁচজন যে টোটোতে চেঁপে ছিলেন এবং কয়েকদিন যেসব গ্রামবাসী সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৪৯ জনকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
তেহট্টের পরিবারের যেভাবে সংক্রমণ
তেহট্টের ওই পরিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৬ মার্চ রাত ১২ টা নাগাদ লন্ডন থেকে আসেন এক তরুণ। হঠাৎই শরীর খারাপ হওয়ায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে ২২ মার্চ। অন্যদিকে, ১৯ মার্চ দিল্লি থেকে শিয়ালদহগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন তাঁরা। ২০ মার্চ তেহট্টের বাড়িতে ফিরে ২২ মার্চ পর্যন্ত বাজার ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে যান তাঁরা। ২২ মার্চ খবর আসার পরেই তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে যান তাঁরা। কিন্তু তখনকার মতো ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর আশা কর্মীরা ২৪ মার্চ বাড়িতে গিয়ে খবর পান ৩ জনের জ্বর এসেছে। তারপরেই আইসোলেশন, পরীক্ষা এবং মহকুমা হাসপাতাল থেকে নিয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি।
প্রতীকী ছবি