মুর্শিদাবাদে হিন্দু ধর্মাচরণে বাধা, জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে
কলকাতা, ২১ জানুয়ারি: মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশে মুসলিম মৌলবাদীরা হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে বাধা দিচ্ছে। স্কুলে সরস্বতী পুজোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে।
ভারতের অন্তর্গত হলেও ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জেরে মুর্শিদাবাদ জেলার জনবিন্যাস এখন পাল্টে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সীমান্ত পার হয়ে প্রচুর লোক ঢুকে পড়ায় এখানে মুসলিম মৌলবাদীরা দাপট দেখাতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে একটি বাংলা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, সংশ্লিষ্ট মৌলবাদীরা মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী ব্লকগুলিতে তালিবানি শাসন কায়েম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। হিন্দুদের লক্ষ্মী পুজো করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলগুলিতে সরস্বতী পুজো করা যাবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সন্ধেবেলা হিন্দু বাড়িগুলিতে শাঁখ বাজালেও মোল্লারা এসে শাসিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ফতোয়া না মানলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন উল্লেখ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সংবিধানের ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৮ ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে সবাই পছন্দ মতো ধর্মাচরণ করতে পারে। তা হলে, মুর্শিদাবাদ জেলায় কেন এমন তালিবানি শাসন কায়েম হবে? কেন সংবিধানের নির্দেশ রক্ষা করতে প্রশাসন তৎপর হচ্ছে না? পুলিশ কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে?
প্রাথমিকভাবে মামলাটি গ্রহণ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি মুর্শিদাবাদের এসপি এবং জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, হিন্দুদের ধর্মাচরণে যেন কেউ জোর করে বাধা না দেয় তা দেখতে।