দেড় ঘণ্টা গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের স্বাদ নিন মাত্র ৩৯ টাকায়, সঙ্গে থাকছে খানাপিনার ব্যবস্থাও
প্রথম করোনা প্রাদুর্ভাবের পর প্রায় ৯ মাস অতিক্রান্ত। মারণ ভাইরাসের ভয়ে কার্যত গৃহবন্দী মানুষ। প্রয়োজন বিনা অনুমতি নেই জমায়েতের। আর এই করোনাকালে ভ্রমণের ইচ্ছা যেন এখন কার্যত অলীক স্বপ্ন। বন্ধ শহরের সমস্ত দর্শনীয় স্থান তেকে শুরু করে সিনেমা-থিয়েটারও। এমতাবস্থায় করোনা সাধারণ মানুষকে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকার।

মাত্র ৩৯ টাকাতেই দেড় ঘন্টা গঙ্গা ভ্রমণ
সূত্রের খবর, ‘গ্যাঞ্জেস রিভার হেরিটেজ ক্রুজ' পরিষেবা শুরু করছে রাজ্য পরিবহন দফতর। যার ফলে মাত্র ৩৯ টাকাতেই দেড়ঘণ্টা গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের স্বাদ পাবেন আম-আদমি। চলতি বছরে পুজোর আগেই ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এই পরিষেবা। যথাযথ ভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের এই নয়া প্রমোদতরীতে একসঙ্গে একইসময়ে যাত্রা করতে পারবেন ১৫০ জন যাত্রী।

চা-কফির পাশাপাশি থাকছে খাস্তা মুখরোচক খাবারের বন্দোবস্ত
সূত্রের খবর, সপ্তাহে ৭দিনই এই অভিনব গঙ্গা ভ্রমণের সুযোগ পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী। নয়া প্রমোদতরীতে চড়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলিও ছুঁয়ে দেখার স্বাদ পাবেন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে থাকছে চা-কফির পাশাপাশি খাস্তা মুখরোচক খাবারেরও বন্দোবস্ত থাকছে বলে জানা যাচ্ছে।

মৃদু সুরে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত, থাকছে সেলফি বুথ
একইসাথে পর্যটকদের কাছে এই ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করতে থাকছে মিউজিক সিস্টেমের ব্যবস্থাও। যাতে মৃদু সুরে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। একইসাথে সেলফি ও জলপথের ছবি তোলার জন্যও থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। থাকবে সেলফি বুথ। এমনকী পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকছে আলাদা শৌচাগারেরও ব্যবস্থা।

কোন কোন সময় চালু থাকবে এই লঞ্চ পরিষেবা ?
পরিবহন দপথর সূত্রে জানানো হচ্ছে, সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে মূলত বিকেল ৪টে এবং সন্ধ্যা ৬টায় দু'টি লঞ্চ ছাড়বে। আর শনি ও রবিবার এই ক্ষেত্রে নিয়মে কিছু বদল থাকছে। ছুটির দিন গুলিতে দিনে চারবার দুপুর ১২টা, দুপুর ২টো, বিকেল ৪টে ও সন্ধ্যা ৬টা এই লঞ্চযাত্রা হবে বলে খবর।

ট্যুর গাইডের হাত ধরেই ঢুঁ মারা যাবে পুরনো কলকাতাক ইতিহাসের পাতায়
এদিকে ওই ভেসেলেই থাকবেন ট্যুর গাইডও। যিনি চাঁদপাল ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাট, বিবাদি বাগ স্টেশন, নিমতলা ঘাট মহাশ্মশান, ভূতনাথ ও শ্মশান কালীর মন্দির, সারদা মায়ের স্মৃতি বিজড়িত ঘাটের ঐতিহাসিক বর্ণণা সোনাবেন পর্যটকদের। শোনাবেন এই সমস্ত ঘাটের ঔপনিবেশিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার ইতিবৃত্ত।

মুকুলের 'দায়িত্ব' নির্ধারণ দিলীপের উপস্থিতিতেই, দিল্লিতে বৈঠক ডাকলেন নাড্ডা