ভোটের আগে বিপাকে মুকুল রায়, ইডির নোটিশ নিয়ে শুরু জল্পনা
সম্পত্তির সম্পূর্ণ হিসেব এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়(mukul roy) কে নোটিশ পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়কে বলা হয়েছে, আগে যে তথ্য তিনি জমা দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ নয়। সেই কারণে মুকুল রায় ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

নথি চেয়ে ইডির নোটিশ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব সম্প্রতি ইডির তরফে নোটিশ মাঠানো হয়েছে মুকুল রায়ের কাছে। সেখানে আগেকার নোটিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডির তরফে বলা হয়েছে তাদের আগেকার পাঠানো নোটিশের ভিত্তিতে মুকুল রায় ৩১ জুলাই মেল করে বেশ কিছু তথ্য জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও কিছু তথ্য বাকি আছে। ইডি সূত্রে খবর, সেই সময় মুকুল রায় একটি মাত্র অ্যাকাউন্টের নথি দিয়েছিলেন। ইডির তরফে এবার তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর সবকটি অ্যাকাউন্টের নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৯-২০-র আয়কর রিটার্নও জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩-১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি যা সম্পত্তি কিনেছেন, তার হিসেবও চাওয়া হয়েছে।

চিঠির খবর অস্বীকার
যদিও এমন কোনও চিঠি পাওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমের কাছে কার্যত অস্বীকার করেছেন মুকুল রায়।

সারদা কাণ্ডে না জড়িয়েছিল মুকুল রায়ের
২০১৩-র এপ্রিলে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল গাড়ির চালক অরবিন্দ সিং চৌহানকে। কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের সময় অরবিন্দ সিং চৌহান নাকি জানিয়েছিলেন, সুদীপ্ত সেন কলকাতা ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তৎকালীন তৃণমূলের দুনম্বর ব্যক্তি মুকুল রায়ের।

বারে বারে অধরাই থেকেছেন মুকুল রায়
সেই সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হলেও, রক্ষা পেয়ে যান মুকুল রায়। পরবর্তী সময়ে নারদা স্টিং অপারেশনেও ( ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি) অনেক তৃণমূল নেতা নেত্রীকে টাকা নিতে দেখা গেলেও মুকুল রায়কে তা নিতে দেখা যায়নি।

অগাস্টের শেষেও পাঠানো হয়েছিল নোটিশ
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অগাস্টের শেষের দিকে নারদা কাণ্ডে মুকুল রায়কে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সেই সময়ও তাঁকে সাতদিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল।

ভোটের আগেই কি গ্রেফতার মুকুল, জল্পনা তুঙ্গে
তবে তদন্তকারীদের অনেকেই বলছেন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে বিস্তর। ফলে সারদা মামলা থেকে রক্ষা পাওয়া মুশকিল। মুকুল রায় ২০১৭ সালে যখন দলবদল করেন, তখন অনেকেই বলেছিলেন মামলা থেকে রক্ষা পেতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে সামনেই রয়েছেন বিধানসভা নির্বাচন। অনেক পদক্ষেপ নির্ভার করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপরে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, যদি মুকুল রায় গ্রেফতার হয়ে যান, তাহলে বিজেপি প্রচার করতে পারবে দুর্নীতির ক্ষেত্রে আপস করে না বিজেপি। এর পিছনেও বিজেপির পরিকল্পনা আছে বলেও অনেকেই মন্তব্য করছেন।

পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, প্রমাণ হাতে পেলেন রাজ্যপাল! রাজ্যে গণতন্ত্র লজ্জিত, মমতার সরকারকে আক্রমণ ধনখড়ের