ফের তলব মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে, ২ নভেম্বর হাজিরার নির্দেশ ইডির
ফের তলব মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব, ২ নভেম্বর হাজিরার নির্দেশ ইডির
ফের তাপস মণ্ডলকে তলব করল ইডি। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। তাপস মণ্ডলতে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পর্ষদ সচিব মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
তাপস মণ্ডলকে তলব
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডলকে তলব করেছে ইডি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। তাপস মণ্ডলেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত বলে দাবি ইডির। তাঁকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। সেকারণে ফের জেরা করতে চাইছে ইডি। ১ নভেম্বর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে।
তাপসকে জেরা করে একাধিক তথ্য
মানিক ভট্টাচার্য ঘণিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে এর আগে ২০ নভেম্বর তলব করা হয়েছিল। তাতে তিনি অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেয়নি তদন্তকারীরা। ২০ নভেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন তাপস ভট্টাচার্য। তাঁকে জেরা করে যে তথ্য ইডির আধিকারীরা হাতে পেয়েছেন তাতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য তাঁরা হাতে পেয়েছেন।
তাপস মণ্ডলের বিএড কলেজে দুর্নীতির টাকা
মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের ৬টি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। এছাড়াও ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। এই বিএড কলেজগুলি থেকেই বিপুল টাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে বিএড কলেজ থেকেই প্রশিণপ্রাপ্তদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হত। সেই টাকা সোজা চলে যেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে সব টাকা যেত মানিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পোক্ত তথ্য
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক পোক্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েছে ইডি। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ডিএলএড কলেজে ভর্তির জন্য মাথা পিছু ৫০০০ টাকা করে নেওয়া হত। মানিক ভট্টাচার্য চাকরি দেওয়ার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা নিতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিয়ে আসা হত। এক কথায় সরকারি চাকরি বিক্রি করতেন তিনি। ইডি মানিক ভট্টাচার্যকে মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করেছে। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী এবং ছেলের অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা পড়ত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।