এনসেফেলাইটিস: এতদিন কি ঘুমোচ্ছিলেন, প্রশ্ন স্বাস্থ্য দফতরকে
উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এটি মহামারীর আকার নিয়েছে। অথচ সেই জানুয়ারি মাসে এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তখন রোগটি ব্যাপক হারে ছড়ায়নি বলে স্বভাবসুলভ আলস্য নিয়েই চলছিল স্বাস্থ্য দফতর। শেষ পর্যন্ত গত কয়েক দিনে পরপর অনেকে মারা যান। একদিকে ভালো ডাক্তারের অভাব, অন্যদিকে পরিকাঠামোর অভাবে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যায়। অবস্থা সামাল দিতে ডাকা হয় দিল্লি এবং পুণের বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা সব কিছু দেখেশুনে থ। এঁরা বলছেন, জানুয়ারি থেকেই যদি স্বাস্থ্য দফতর ব্যবস্থা নিত, তা হলে আজকে এমন দিন দেখতে হত না। এমনকী, এনসেফেলাইটিস নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজও করেননি স্বাস্থ্যকর্তারা। এই রোগ হলে কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, সাধারণ মানুষের কোনও ধারণাই নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে এনসেফেলাইটিস ছড়িয়েছিল। তখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছিল। এরা এনসেফেলাইটিস নিয়ে গবেষণা চালাত। আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করত। মাঝখানে দক্ষিণবঙ্গে আর এনসেফেলাইটিস না হওয়ায় গত ন'বছর ধরে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই কেন্দ্রটি থাকলে কিছুটা সুবিধা হত রোগ প্রতিরোধে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অমরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, "পরিকাঠামোর অভাব তো আছেই। তবুও আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি। বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা মাথায় রেখে এগনো হচ্ছে।"