বেতন না পেয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে টিটাগড় পুরসভার কর্মীরা
বেতন না পেয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে টিটাগড় পুরসভার কর্মীরা
বেতন না পেয়ে বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আন্দোলন টিটাগড় পুরসভার শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীর।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে টিটাগড় পুরসভার ভেতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। পরে পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হন তারা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় থেকে এই পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। বার বার পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও বেতন সমস্যার সমাধান করা যায়নি। শুধু যে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বকেয়া আছে তাই নয়, স্থায়ী কর্মীরাও গত ২ মাস বেতন পাননি বলে অভিযোগ।
আন্দোলনকারী স্থায়ী সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, 'লকডাউনের মধ্যে সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ, কে কাকে সাহায্য করবে? আমাদের স্থায়ী কর্মীদের ২ মাস বেতন দেয়নি, অস্থায়ী কর্মীদের ৪ মাস বেতন হয়নি, অন্যদিকে পেনশনাররা ৩ মাস পেনশন পাননি। এভাবে আমরা বাঁচব কি করে? বাধ্য হয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছি। আমরা বেতন চাইলেই পুরপ্রধান সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ডেকে আনেন। আমরা কি গুন্ডা না কি? নিজেদের কাজের ন্যায্য মূল্য চাইছি, সেটা না দিলে আমাদের সংসার কি করে চলবে? বাচ্চাদের পড়াশোনা কি করে করাব?'
এ প্রসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার পৌরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী জানান, 'যে আন্দোলন কর্মীরা করছেন তার কোন মানে নেই। তাদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামানো হয়েছে।
ওরা দাবি করেছে যাতে ওদের বেতন রাখীর আগে দেওয়া যায়। আমরা সেই চেষ্টাতেই আছ। আসলে লকডাউনের কারনে পুরসভায় ঠিক মত ট্যাক্স জমা পড়েনি। স্থানীয় কলকারখানা গুলোও ট্যাক্স জমা দেয়নি। যার ফলে কর্মীদের বেতন বকেয়া পড়েছে। তবে ওরা ওদের বেতন ঠিক পাবে। যারা আন্দোলন করছে তারা সামান্য কিছু শ্রমিক। অধিকাংশ শ্রমিক সমস্যাটা বুঝেছে। তবে ওদের বেতন দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে।
রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীকে তুলে নিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ