বেতনবৃদ্ধি হলেও মিলবে না বকেয়া, তাতেই অগ্নিশর্মা সরকারি কর্মীরা স্যাটের দ্বারস্থ
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বেড়েছে প্রত্যাশার থেকেও বেশি। কিন্তু রাজ্য সরকার এরিয়ার দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়াতেই বাধল বিপত্তি।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বেড়েছে প্রত্যাশার থেকেও বেশি। কিন্তু রাজ্য সরকার এরিয়ার দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়াতেই বাধল বিপত্তি। বেতন বাড়ানো সত্ত্বেও রাজ্যের বিরুদ্ধে স্যাটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল একাংশ কর্মচারী। ফলে বেতন-সহ অন্যান্যা ভাতা বাড়ার আনন্দের দিনেও তাল কেটে গেল এরিয়ার না দেওয়ার ঘোষণায়।
সাড়ে তিন বছর পর বেতন কমিশনকে মান্যতা দিয়ে প্রত্যাশার থেকেও বেশি বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতার সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতনবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সমস্ত ক্ষেত্রেই কমিশনের সুপারিশের তুলনায় বেশি বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু একইসঙ্গে এরিয়ার না দেওয়ায় সিদ্ধান্তও ঘোষণা করে রাজ্য।
বেতন ও ভাতা বাড়ালেও এরিয়ার দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় সরকার। অর্থমন্ত্রী জানান, এরিয়ারের বিপুল আর্থিক বোঝা রাজ্যের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তা নিয়ে অবশ্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। তাঁরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বেতন বাড়িয়েও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আঁচ থেকে রক্ষা পেল না সরকার।
অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বেতন কাঠামো চালু হবে। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন পে কমিশন একলাফে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। প্রস্তাবিত ২.৫৭ গুণ বেতন বাড়ানোর সুপারিশের থেকে বেশি ২.৮০৯ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
একইসঙ্গে এদিন হাউস রেন্ট বাবদ ভাতা, মেডিকেল ভাতা, টিফিন খরচও বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবথেকে বেশি স্বস্তি দিয়েছে গ্র্যাচুইটিতে। এতদিন এর সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করেছিল কমিশন। মমতার সরকার তা বাড়িয়ে করল ১২ লক্ষ টাকা। তবুও মন ভরেনি কর্মীদের। এরিয়ার না পেয়ে মামলা করছেন সরকারি কর্মীরা।