চলবে লোকাল ট্রেন! কী ভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, রূপরেখা ঠিক করতে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডিএম-এসপিদের
সারা দেশে নিউ নর্মাল চালু হয়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ে চালু হয়ে গিয়েছে লোকাল ট্রেন (local train)। এবার পালা কলকাতার। বুধবার থেকে তা শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল। ট্রেনগুলিকে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নবান্নে (nabanna) বৈঠকের ডাক দিয়েছেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
ভিলেন ঘূর্ণাবর্ত, উধাও শীত! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার রিপোর্টে কোন বার্তা

আগেই কাজ শুরু রেলের
লকডাউনে স্টাফ স্পেশাল চালিয়েছে রেল। কিন্তু সেই স্টাফ স্পেশালেও বহু সাধারণ মানুষ যাত্রা করেছেন। যা নিয়ে রেলপুলিশের সঙ্গে ঝামেলা কম হয়নি। সাধারণ মানুষের পিঠে পড়েছে লাঠির বাড়ি। তবে এবার চলবে বেশি ট্রেন। ফলে বাড়তি চাপ রেলকর্মীদের ওপরে। ধাপে ধাপে কাজ শুরু করে দিয়েছেন হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার রেলকর্মী ও আধিকারিকরা। বহু ট্রেনকে ইতিমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বাকিগুলিকেও করা হবে এই দুদিনের মধ্যে। সোমবার থেকে খুলে গিয়েছে টিকিট কাউন্টারগুলি। শুরু হয়ে গিয়েছে মাসিক টিকিট পুনর্নবীকরণের কাজ।

রেলমন্ত্রীর টুইট
পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেনের যাত্রা শুরু নিয়ে টুইট করেছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ১১ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ৬৯৬ টি ট্রেন চালিয়ে সাবার্বান সার্ভিস শুরু করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ট্রেন চলাচল শুরু হলে যা যাত্রীদের সুবিধা বাড়াবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

১০ টি জেলার ডিএম, এসপিদের নিয়ে বৈঠক
বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালানো শুরু হলে তা রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ১০ টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে। তাই ওই দশটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে, তা ঠিক করতেই এদিনের বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। মূলত স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের ঢোকা এবং ভিড় ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা রাজ্য বলেছিল ট্রেন চালু করতে। আর নিরাপত্তার বিষয়টিও রেলের তরফে রাজ্যের ওপরেই ছাড়া হয়েছে।

হাইকোর্টে দায়ের হতে চলেছে মামলা
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার লোকাল ট্রেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে মামলা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা দায়ের হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুজো, কালী পুজোয় মণ্ডপ নো এন্ট্রি করে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নেওয়া হাওড়ার বাসিন্দা অজয় দেই এই মামলাটি দায়ের করতে চলেছেন। তাঁর আবেদনে তিনি বলতে চলেছেন, শহরতলীর যেসব জায়গা কালীপুজো কিংবা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত তার আগে পরে ১০ কিমির মধ্যে যেন ট্রেন দাঁড় করানো না হয়।