শিল্প সম্মেলনে মমতার ফোকাসে দেউচা! প্রতিবাদ জানাতে যাচ্ছেন শুভেন্দুর নেতৃত্বে ১১ বিজেপি বিধায়ক
বুধবার যখন কলকাতায় সরকারে বাণিজ্য সম্মেলনে দেউচাকে (Deucha) তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেই সময় দেউচায় আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি(BJP)।
বুধবার যখন কলকাতায় সরকারে বাণিজ্য সম্মেলনে দেউচাকে (Deucha) তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেই সময় দেউচায় আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি(BJP)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে ১১ জন বিজেপি বিধায়ক সেখানে যাচ্ছেন।
বুধবার কলকাতায় শুরু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন
করোনা পরিস্থিতির কারণে দুবছর কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়নি। বুধবার দুদিনের সেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। মূল উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিনিয়োগ টানতেই ফের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হবে বুধবার। সেই সম্মেলনে দেউচা-পচামিকেই তুলে ধরতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ১১ জন বিজেপি বিধায়ক
সকাল আটটায় এমএলএ হস্টেল থেকে যাত্রা শুরু করবেন বিজেপি বিধায়করা। বেলা আড়াইটেয় তাদের সেখানে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও থাকবেন বিরোধীদলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। এছাড়াও থাকছেন মনোজ ওঁরাও, বিশাল লামা, দুর্গা মুর্মু, জুয়েল মুর্মু, বুধরাই টুডু, পুনা ভেঙ্গরা, নরহরি মাহাত, সুদীপ মুখোপাধ্যায় এববং অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই সেখানে যাচ্ছে বিধায়কদের প্রতিনিধি দল।
সোমবারের পরে মঙ্গলবারও ধাক্কা খায় প্রশাসন
স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সোমবারের পরে মঙ্গলবারেই সেখানে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায় স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দেওয়ানগঞ্জে জমিদাতাদের কয়েকজনকে নিয়োগপত্র এবং পাট্টা ও চেক প্রদানের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে অবরোধ শুরু হয়। তির-ধনুক নিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় আদিবাসীদের একটা বড় অংশ। প্রশাসনিক আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও বীরভূমের জেলাশাসক বিধানস রায় এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী সেখানে ঢুকতে পারেননি। এর জেরে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার জেলা শাসকের দফতরে গিয়েছিলেন জমিদাতারা, কবে চাকরি পাবেন, তা নিয়ে জানতে।
প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী
স্থানীয় আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেই দেওয়ানগঞ্জে জেলাশাসকের যাওয়াটা ওই প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন গ্রামবাসীরা না চাইলে জোর করে কয়লাখনি করা হবে না। কিন্তু তার ৫ দিনের মাথায় সেখানে পুলিশ নিয়ে জেলাশাসকের উপস্থিত হওয়া সরকারের ঔদ্ধত্য এবং মিথ্যাচার বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কলকাতার নদীপথে আরামের ছোঁয়া যোগ করল 'সাগরী'! জলপথ পরিবহণে নতুন দিগন্ত