করোনা পরিস্থিতিতেই ক্যানিং শ্মশানে চালু হল বৈদ্যুতিক চুল্লি
করোনা পরিস্থিতিতেই ক্যানিং শ্মশানে চালু হল বৈদ্যুতিক চুল্লি
২১ জুলাইয়ের শহীদ স্মরণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ ব্লকের মাতলা ব্রিজ সংলগ্ন মাতলা নদীর চড়ে চালু হয় এই বিদ্যুতিক চুল্লির। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ক্যানিংবাসীর দাবি ছিল বিদ্যুতিক চুল্লির। এর ফলে উপকৃত হবেন এই ব্লক ও আশপাশের ব্লকের প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ। এদিন দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণ হওয়ায় খুশি ক্যানিংবাসী।
বিদ্যুৎ চুল্লি হাওয়ায় কর্মসংস্থানও হল অনেকের। শশ্মানে স্থায়ীভাবে থাকছে ২ জন ডোম, একজন রেজিস্ট্রার, ২ জন সুইপার, একজন অপারেটর।
এদিন বিদ্যুৎ চুল্লির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী, মহকুমা শাসক রবিপ্রকাশ মিনা, ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে, পিডাব্লুডি ইঞ্জিনিয়ার প্রমূখ।
সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের এই বিদ্যুতিক চুল্লির জন্য শিলান্যাস করে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধায়ক শ্যামল মন্ডল জানান, যারা কাজকর্ম করবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ক্যানিং মহকুমা যে সমস্ত করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছিল। তাদের দেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ফলে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। তাই সরকারি ভাবে সিধান্ত হয় করোনা রোগীর দেহ আপাতত এই বিদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শ্মশানঘাটের দাহ করা হবে।
বাংলায় করোনা সংক্রমণ পরপর তিন দিন বাড়ল ২২০০ করে, সুস্থতার হারে খানিক স্বস্তি