আগামী দুমাস এইসব বন্ধ রাখা উচিৎ! বাংলায় পুরভোট নিয়ে 'ব্যক্তিগত' মত জানালেন অভিষেক
আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলায় চার পুরসভায় নির্বাচন। ভোট হবে আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং বিধাননগরে। আর এই নির্বাচন ঘিরেই জোর প্রস্তুতি। ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিকদলই জোরদার প্রচারে রাজপথে। একেবারে ঢাক-ঢোল নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে ব
আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলায় চার পুরসভায় নির্বাচন। ভোট হবে আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং বিধাননগরে। আর এই নির্বাচন ঘিরেই জোর প্রস্তুতি। ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিকদলই জোরদার প্রচারে রাজপথে। একেবারে ঢাক-ঢোল নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে বিতর্কে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থীও।
কার্যত সব জায়গাতে করোনা বিধিকে অমান্য করে চলছে প্রচার। এই অবস্থায় ভোট করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় যদিও নিজের ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে দিলেন অভিষেক। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগণাতেই ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় আজ শনিবার আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ডায়মন্ডহারবারের জন্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেন এলাকার সাংসদ।
শুধু তাই নয়, তাঁর সংসদীয় এলাকাকে মডেল করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। যেমন ডক্টর অন হুইলস, বাড়িতে বাড়িতে সেলফ কোভিড টেস্ট সহ একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ডায়মন্ডহারবার সহ গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর এখানেই চার পুরসভায় ভোট নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আদালত যা বলবে সেভাবেই হয়তো কমিশন চলবে। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল কোভিড পরিস্থিতিতে আগামী দু'মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। এমনকি নির্বাচনও। তবে অবশ্যই এটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক।
আর এখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, অবশেষে ভাইপোর বোধোদয় হয়েছে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ না করে মানুষকে বিপদে ফেলছে সরকার। এমনটাই মনে করেন বামনেতা। একই সঙ্গে তাঁর কথায় এমপি কাপের কথাও উঠে আসে। সুজনবাবুর মতে, অভিষেক গত কয়েকদিন আগেই খেলার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করেছেন ডায়মন্ড হারবারে, কারও মুখে মাস্কও ছিল না। অন্যদিকে অভিষেককে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষও। তাঁর মতে, উনি যদি এমনটা মনে করেন, ওনার দল কেন নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন না?
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি ভোট পিছানোর পক্ষে নয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে তা হাইকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। যদিও ইতিমধ্যে একগুচ্ছ কোভিড বিধি জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা মানছে কে? সব জায়গাতেই করোনা বিধিকে উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। যদিও রাজনৈতিক দল না দেখে করোনাকে বিধিকে উপেক্ষা করলেও বিপর্যয় আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।