চার পুরনিগমের ভোট হচ্ছে ২২ জানুয়ারিই! গাইডলাইন বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন
রাজ্য করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে কার্যত আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। এই অবস্থায় কী করে হবে পুরভোট? তা নিয়ে এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে কার্যত আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। এই অবস্থায় কী করে হবে পুরভোট? তা নিয়ে এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্তে উপনীয় হয়, ২২ জানুয়ারিই হবে রাজ্যরে চার পুরনিগমের ভোট। এই ভোটগ্রহণে হবে কোভিড প্রোটোকল মেনে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মহামারী আবহে পূর্ব নির্ধারিত দিনেই চার পুরনিগমের ভোট হবে। সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বারাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে এই মর্মে একটি বৈঠক করেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চার পুরনিগমে ভোট হবে আগামী ২২ জানুয়ারিই।
নির্বাচন কমিশন একইসঙ্গে জানিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত দিনে ভোট হবে ঠিকই, কিন্তু বেশ কিছু বিধি-নিষেধ মেনেই ভোটগ্রহণ পর্ব সারতে করতে হবে। কোভিড প্রোটোকল মেনে নোমিনেশন, থেকে প্রচার, ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণনা- প্রতিটি পর্ব সম্পূর্ণ করতে হবে। শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগরের করোনা পরিস্থিতি বুঝে গাইডলাইন স্থির করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের পুর-আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করেছে পূর্ব নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন সম্পন্ন করার। সেই মোতাবেক রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকলেও পুরভোট স্থগিত রাখা হচ্ছে না বলে ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভোটের জন্য গাইডলাইন এদিনই প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়, কলকাতায় করোনা সংক্রমণ শিখরে উঠলেও, যেসব জেলায় এবার চার পুরনিগমের ভোট হচ্ছে, সেখানে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তাই করোনা বিধা মেনে ভোট করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সেইমতোই রাজ্যকে গাইডলাইন তৈরি করতে বলা হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠকে এদিনই গাইডলাইন তৈরি করা ফেলা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।
এদিনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন জানায়, যে সব এলকায় নির্বাচন, সেখানে করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, তা অবিলম্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। প্রতি মুহূর্তের করোনা পরিস্থিতির রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও প্রচারে থাকবে নানা বিধি-নিষেধ। আগেই কমিশন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, প্রচারের ক্ষেত্রে কনভয়ে পাঁচটির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না।
এদিন বাড়ি বাড়ি প্রচারে সর্বোচ্চ পাঁচজনকে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। ছোট ছোট জমায়েত করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু বড় জমায়েত করা যাবে না। জমায়েত সর্বোচ্চ কতজন থাকতে পারে, তা পুনরায় গাইডলাইনে দিয়ে জানানো হবে।