চতুর্থ দফা ভোটের আগে ৩ জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে সরাল কমিশন
সামনেই চতুর্থ দফার ভোট। তার আগে শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে এবার নির্বাচন কমিশন নিল কঠোর বার্তা। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলার ৩ জেলার নির্বাচনী আধিকারককে বদল করল কমিশন।
শান্তিপূর্ণ ভোট লক্ষ্য
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের চেয়ে তৃতীয় দফার ভোটের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবিটা বারবার প্রকট হয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে চতুর্থদফায় বাংলার ভোটের আগে রাজ্যের তিন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের রদবদল নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা। জানা যাচ্ছে ওই নির্বাচনী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠুভাবে ভোচ পরিচালনা না করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ কমিশনের হাতে পড়তেই কমিশন দ্রুত খতিয়ে দেখে পরিস্থিতি। তারপরই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কোন নির্দেশ কমিশনের?
মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই দিন আধিকারিকের বদলের সঙ্গে কলকাতার দুই থানার পুলিশ আধিকারিকও বদল করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নিখিল নির্মলকে বদল করে জেলার ডিইও করা হয়েছে, ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার সি মরুগানকে। পূর্ব বর্ধমানের ডিইও করা হয়েছে ২০০৯ ব্যাচের আইপিএস শিল্পা গৌরীসারিয়াকে।
কমিশনের আধিকারিকদের বদল
এছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিকের পদে আনা হয়েছে ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে। কমিশন সূত্রে দাবি করা হয়েছে বাংলার বুকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়াকে পাখির চোখ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশে রদবদল
এদিকে, সামনেই কলকাতার বুকে নির্বাচন। তার আগে আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর দিয়ে কলকাতার দুটি থানার আধিকারিকের বদল ঘটিয়েছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক থানার ওসি মৃণালকান্তি মুখোপাধ্যায়কে স্পেশ্য়াল ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়েছে। বাঁশদ্রোণী থানার ওসি প্রতাপ বিশ্বাসকে গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় এসেছেন মলয় বসু। অন্যদিকে অরূপ বিশ্বাস বনাম বাবুল সুপ্রিয়র যুযুধান ভোটযুদ্ধ কেন্দ্র টালিগঞ্জে রাম থাপা এসেছেন ওসির পদে।