২০২১-এর লক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের! সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের সম্ভাবনা
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (west bengal assembly election 2021) জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (election commission)। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলেছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে সকলেই চ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (west bengal assembly election 2021) জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (election commission)। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলেছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে সকলেই চিন্তিত থাকেন, তা হল নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার নিয়ে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন প্রায় ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর ব্যবহার করতে পারে বলেই সূত্রে খবর।
সরকার কি আকাশে ছিল, 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' নিয়ে কটাক্ষ সায়ন্তনের! পিকে কে প্রশ্ন লকেটের
নির্বাচনের লক্ষে কমিশনের পরিকল্পনা
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে। সেই কারণেই প্রায় ৮০০ কোম্পানি বাহিনী লাগতে পারে। একদিকে নির্বাচন কমিশন যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরিকল্পনা করছে, অন্যদিকে তারই মধ্যে রয়েছে কোভিড পরিস্থিতির কথাও। এপ্রিল মে মাসে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন হবে রাজ্যে। যে কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখার কথাও প্রাথমিক পরিকল্পনায় উঠে এসেছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিলেন
ঝুঁকিপূর্ণ বুথ চিহ্নিতকরণের কাজ সম্পূর্ণ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বুথগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারে এই চিহ্নিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তবে ভোটে কত বাহিনী পাওয়া যাবে, সেব্যাপারে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে থাকে নির্বাচন কমিশন।
আগেকার নির্বাচনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৪৫ কোম্পানির মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দোবস্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগেকার নির্বাচনগুলির তুলনায় ২০১৯-এর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল। মোটামুটিভাবে ৯৬ থেকে ৯৯ শতাংশের মতো বুথের পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হয়েছিল।
বিহারের ভোট থেকে শিক্ষা
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বিহারে ভোট পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিহারে বুথের সংখ্যা বাড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গেও তা অনুসরণ করা হতে পারে।
ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দিলীপ ঘোষ
ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারের কথা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক প্রচারেও আসতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অনেকেই নিশ্চিত করে বলছেন, এবারের ভোটে রাজ্য পুলিশকে ভোট কেন্দ্রের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। তিনি এর আগেও বলেছিলেন ভোট কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তারা খৈনি পিষবে আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ দেখবে। যদিও এই প্রচারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ২০১১ এবং ২০১৬ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই ভোট হয়েছিল।