বহিরাগত নিয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ! স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দিল কমিশন
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট। প্রচারের শেষ লগ্নে কার্যত ঝড় তুললেন ডান-বাম সব দলের প্রার্থীরা। শহরের এক প্রান্তে প্রচার সামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক র্যালি, সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। শেষ বেলায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার সারলেন বাম এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে ভোটের আগে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার পর্ব মিটলেও পরীক্ষার দিন নিয়ে আতঙ্কে বিরোধীরা।

কমিশনের দ্বারস্থ বিরোধীরা
আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট রয়েছে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট রয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, ব্যাপক ভাবে ভোটের আগে জমায়েত হচ্ছে। এই বিষয়ে কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন। আর এই আবেদন নিয়েই আজ শুক্রবার কমিশনের দ্বারস্থ হন বাম নেতারা। অন্যদিকে কার্যত একই অভিযোগ বিজেপিরও। তাঁদের দাবি, ভোটারদের ভয় দেখানো হতে পারে। কলকাতা পুলিশের উপর কোনও ভরসা নেই। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি।

বহিরাগত ইস্যুতে সতর্ক করল কমিশন
বিরোধীদের একের পর এক অভিযোগ নিয়ে কলকাতা পুলিশকে সতর্ক করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বহিরাগত ইস্যুতে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ। একই সঙ্গে বাইক বাহিনী নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। ভোটের আগে কোথায় যেন বাইক র্যালি না করা হয়। অন্যদিকে প্রচার পর্ব শেষ হতেই পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গাতে রুট মার্চ করা হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে বুথ সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। এমনটাই কমিশন সুত্রের খবর।

উত্তেজনাপ্রবণ বুথের তালিকা কমিশনের
অন্যদিকে ভোটের আগে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের তালিকা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৬টি বরোর মধ্যে মোট ১১৩৯ টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে কমিশনের তরফে। শুধু তাই নয়, ১১৩৯ টির মধ্যে ৭৮৬টি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৬টি বরোয় ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথ রয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরা যাদের নিরাপত্তারক্ষী আছেন তারা নিজেদের বুথ ছাড়া, পার্টি অফিস ছাড়া যত্রতত্র ঘুড়তে পারবেন না। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। একই সঙ্গে
পোলিং এজেন্টকে বুথেরই হতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সন্ত্রাস নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা
ভোটের দিন অশান্তি করতে পারে বিরোধীরা। আর দায় এসে পড়তে পারে শাসকদল তৃণমূলের উপর। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে নিজেদের নেতা-কর্মীদেরও সাবধান করে দেন তিনি। অন্যদিকে ভোটের দিন অশান্তি হলে, আটকানোর চেষ্টা হলে কর্মীরা বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেই কারনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের উপর জোর বঙ্গ বিজেপি নেতাদের।