ভোটের মাঝে করোনা দমনে শক্ত হাতে হাল ধরল কমিশন, রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া বার্তা
হু হু করে বাড়ছে করোনার দাপট। দেশে ইতিমধ্যেই করোনা বেড়ে দৈনিক গ্রাফ ১ লাখ ৩১ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাতেও একদিন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ হাজারের ঘরে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে নেতা নেত্রীদের ভোট প্রচারে কতটা করোনা বিধি মানা হচ্ছে তা নিয়ে। প্রসঙ্গত, করোনা সচেতনতায় কমিশন একাধিক ব্যবস্থা নিলেও রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলিক কতটা তা মেনে চলছে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এমন অবস্থায় কমিশন নিল বড় পদক্ষেপ।
কমিশনের নির্দেশিকা
করোনা সচেতনতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন জানিয়েছে ,ভোটের মধ্যে যাতে করোনা সংক্রমণ আর বেশি ছাড়াতে না পারে তার জন্য দলগুলিকে পদক্ষেপ নিতে হবে শক্ত হাতে। এছাড়াও যাঁরা প্রার্থী, যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদের এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। নিয়ম পালনে অন্যথা হলে নেমে আসবে কড়া বিধির খাঁড়া!
কোন ক্ষেত্রে বাতিল হতে পারে ভোট প্রচার!
কমিশন জানিয়েছে, কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল যদি তাদের প্রচারে করোনা বিধি যথাযথ পালন না করে তাহলে তাঁর ভোটপ্রচার বন্ধ হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নির্বাচনী জনসভা , মিছিল সহ যাবতীয় কর্মসূচিও বাতিল করে দেওয়ার বক্তব্য পেশ করা হয়েছে।
জমায়েত থেকে যাতে করোনা না ছড়ায়!
কমিশনের পরামর্শ, ভোটের প্রচার থেকে বা জমায়েত থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার বন্দোবস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকেই। এক্ষেত্রে মাস্ক পরা বা স্যানিটাইজার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। আর মাস্ক পরে সেই সচেতনতা ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই বাড়িয়ে তুলতে হবে প্রচারের সময়।
ভিড় নিয়ন্ত্রণই শুধু কাম্য নয়
কমিশন জানিয়েছে, স্রেফ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাই নয়, কর্মসূচি শুরুর আগে দলের কর্মী সমর্থকরা সঠিক স্বাস্থ্য়বিধি মানছেন কি না, তা দেখতে হবে দলকে। শুধু তাই নয়। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে, এমনটা নিশ্চিত করতে হবে সেই সংশ্লিষ্ট দলকে। এদিকে, করোনার জেরে দেশের একাধিক জায়গায় জারি উইকেন্ড লকডাউন। এছাড়াও নাইট কার্ফু জারি হয়েছে বহুবিধ জায়গায়। তারই মাঝে চলছে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব ভোটগ্রহণ।