এবারের নির্বাচনে মহিলা না পুরুষ, কাদের অবদান বেশি, তৃণমূলের জয়ে তথ্য প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের
এবারের নির্বাচনে মহিলা না পুরুষ, কাদের অবদান বেশি, তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন
দেশে তথা রাজ্যে পুরুষদের (men) তুলনায় মহিলা (women) ভোটার সংখ্যা বরবারই কম। আর মহিলারা কম ভোট দিতেন, তাও যেন প্রাসঙ্গিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা পুরুষদের পরাজিত করেছেন। অন্তত নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই দেখা গিয়েছে।
মহিলারা ভোট দিয়েছেন বেশি
এবারের
নির্বাচনে
৮১.৭
শতাংশ
মহিলা
ভোট
দিয়েছেন।
অন্যদিকে
৮১.৪
শতাংশ
পুরুষ
ভোট
দিয়েছে।
সব
মিলিয়ে
ভোটের
হার
ছিল
৮১.৬
শতাংশের
মতো।
৩.৫
কোটি
মহিলা
ভোটারের
মধ্যে
ভোট
দিয়েছেন
২.৯
কোটি
অন্যদিকে
৩.৭
কোটি
পুরুষ
ভোটারের
মধ্যে
ভোট
দিয়েছেন
৩
কোটি।
যার
জেরে
রাজ্যের
গড়
ভোটদানকে
ছাড়িয়ে
গিয়েছে
শতাংশের
নিরিখে
মহিলা
ভোটদানকারীর
সংখ্যা।
নির্বাচন
কমিশন
জানিয়েছে,
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
৮১.৭%
মহিলা
ভোটার
ভোট
দিয়েছিলেন।
শতাংশের নিরিখে বেশি জিতেছেন মহিলা প্রার্থীর
২০২১-এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২৪০ জন মহিলা প্রার্থী এর মধ্যে ৪০ জন (১৬.৭%) জয়ী হয়েছেন, অন্যদিকে ১৫৪ জনের (৬৪.১%) জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে ১৮৭৬ জন পুরুষ প্রার্থীর মধ্যে ২৫২ জন (১৩.৪%) জয়লাভ করেছেন। ১৩৪২ জন (৭১.৫%)-এর জমানত জব্দ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে গড়ে বিধানসভা পিছু সাতজন করে প্রার্থী ছিল।
খুশি মহিলারা
এবারের নির্বাচন নিয়ে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে খুশি সর্বস্তরের মহিলারা। যেমন অশোকনগরের ৯৮ বছর বয়সী ননীবালা দেবনাথ মহিলা ভোটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি বয়সী। তিনি বাড়িতে বসেই ভোট দিয়েছিলেন। জানিয়েছেন, নিজের ছেলেকেই বলেননি কাকে ভোট দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই প্রজন্মের মহিলা ভোটাররা বলছেন, মহিলারা ভোটের মাধ্যমেই তাঁদের কথা বলে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টার্গেট করেছিলেন মহিলা ভোটারদের
রাজনৈতিক ভাষ্যকার বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, প্রত্যেকটি সভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি মহিলাদের কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পরিবারের মহিলা প্রধানের নামে দেওয়া কথা বলে মহিলাদের আক্ৃষ্ট করেছেন। এছাড়াও ১.৬ কোটি পরিবারের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন।
মহিলাদের বেশি ভোট দেওয়াকে সমাজের প্রতি বার্তা বলে মনে করছেন অনেকে। কেননা মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার হার বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবারেরগুলির মধ্যে আগেকার মতো বাড়িতে লিঙ্গ বিভাজনও নেই। বাবা-মায়ের মেয়েদের এগিয়ে দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান করার জন্য। তার থেকেই এই ফলাফল বলেই মনে করছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা।