ভোট প্রচারের নিয়মে পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন, জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা তৃণমূলের
চতুর্থ দফা শেষেই বাংলায় ভোট প্রচারের নিয়মে পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আর ৪৮ ঘণ্টা নয়, এবার থেকে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দিতে হবে প্রচার।
চতুর্থ দফা শেষেই বাংলায় ভোট প্রচারের নিয়মে পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আর ৪৮ ঘণ্টা নয়, এবার থেকে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দিতে হবে প্রচার। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে জরুরি অবস্থান সঙ্গে তুলনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলায় ইতিমধ্যে চার দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ দফায় পাঁচ ভোটারের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। বাংলায় যত দফা বাড়ছে ততই, হিংসা বাড়ছে। প্রথম দুই দফা আপাত শান্ত থাকলেও, তৃতীয় দফা হিংসার ভোট দেখেছিল বাংলা। চতুর্থ দফা রক্তাক্ত হয়ে উঠল পাঁচ মৃত্যুতে।
এরপরই নির্বাচন কমিশন কড়া মনোভাব পোষণ করে। বাংলায় পঞ্চমদফা নির্বাচনে ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধের নির্দেশ জারি করে কমিশন। এখনও চার দফা নির্বাচন বাকি বাংলায়। ফলে এই চার দফায় প্রার্থীরা ভোট প্রচারের কম সময় পাবেন।
তৃণমূলের দাবি, নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির দাসানুদাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপির হুকুম তামিল করতে হচ্ছে কমিশনকে। এত কিছুর পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয় হবে। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকার পর বলেন, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল বলে।
এর আগে বাংলায় চতুর্থ দফা নির্বাচনে বেনজির হিংসার কারণে কোচবিহারে আগামী ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। ফলে রবিবার বাতিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহার সফর। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শীতলকুচি-সহ জেলার পাঁচটি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করতে পারবেন না আগামী ৭২ ঘণ্টা। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।