মেঘভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে বাজের দাপট বর্ষার বাংলায়, পাঁচ জেলায় কাড়ল ৮ প্রাণ
দ্বিতীয় দিলেই বাংলার বুকে দাপদ দেখাল বর্ষা। তুমুল বৃষ্টি তো ছিলই, সেইসঙ্গে মুহূর্মুহূ বাজ কেড়ে নিল ৮ প্রাণ।
দ্বিতীয় দিলেই বাংলার বুকে দাপদ দেখাল বর্ষা। তুমুল বৃষ্টি তো ছিলই, সেইসঙ্গে মুহূর্মুহূ বাজ কেড়ে নিল ৮ প্রাণ। মঙ্গলবারের টানা বৃষ্টি চলাকালীন বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর মিলেছে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম ও হুগলি থেকে। এর মধ্যে বাঁকুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের। বাকি চার জেলায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকার রাজগ্রামে এদিন দুপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের। লক্ষ্মী মাজি মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন মেয়ে পায়েলকে নিয়ে। তখনই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁদের দুজনের। এরপর তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করে হয়।
বাঁকুড়ার ওন্দায় মাঠে চাষের কাজের সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় আবদুল আলি খানের। সোনামুখির নিত্যানন্দপুর গ্রামের রঞ্জিত দাসেরও মৃত্যু হয় একইভাবে। এবার বর্ষার শুরু থেকেই বাজের দাপটে মানুষের ভীতির সঞ্চার হয়েছে। প্রতিদিনই একজন না একজনের মৃত্যু খবর মিলছে বাজ পড়ে। রাস্তায় বাজের ভয়ে মানুষের সসেমিরা অবস্থা।
এদিন দিনদুপুরে আঁধার ঘনিয়ে মেঘ করে আসে। তারপর তুমুল বৃষ্টি, সঙ্গে কড়কড় শব্দে আছড়ে পড়ে বাজ। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি বজ্র-বিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হয় ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গেও। দুপুরবেলায় অন্ধকার এতটাই ঘনিয়ে আসে যে এদিন স্ট্রিট লাইট জ্বালতে হয় কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহর ও শহরতলির রাস্তায়।
এরই মধ্যে রাসবিহারীতে গাছ ভেঙে বিপত্তি ঘটে। যান চলাচল ব্যাহত হয়। বষ্টির জেরে শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জল জমে যায়। জল জমে যানজট তৈরি হয় পার্ক সার্কাস, ইএম বাইপাস-সহ বিভিন্ন জায়গায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দুই বঙ্গেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলবে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতেও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:দুপুরবেলায় ঘনিয়ে এল রাত, তুমুল বৃষ্টির মাঝেই দিনেরবেলাও জ্বলে উঠল স্ট্রিট লাইট]