ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট ব্যবহারে করুণ চিত্র রাজ্যে
১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৪. ৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। ৬৪.৬ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি অংশে সমীক্ষায় এমনই করুণ চিত্র উঠে এসেছে।
১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৪. ৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। ৬৪.৬ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি অংশে সমীক্ষায় এমনই করুণ চিত্র উঠে এসেছে।
কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোন প্রেমী। ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। এই চিত্রের অন্য দিকও আছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'প্রথম'-এর তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬০টি গ্রামের ৯৫৬টি বাড়ির ১০৭৮ কিশোর-কিশোরীর ওপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৪. ৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। ৬৪.৬ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি।
২০০৫ সাল থেকে শিশুদের স্কুলে যাওয়া, বেসিক রিডিং স্কিল, অ্যারিথমেটিক টাস্ক-সব বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তৈরি হয় অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট। ২০০৬ সাল থেকে এই রিপোার্টে ৫ থেকে ১৬ বচর বয়সীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সময়কালে একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা গিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ১৪ বছর বয়সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা শেষ করছে। আর ৪ বছর পরেই তারা সাবালক হবে। এই ৪ বছরে কোন ধরনের এবিলিটি কিংবা স্কিল তারা অর্জন করবে, তা নিয়েই ১৪-১৮ বছর বয়সীদের জন্য অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট। ২০১৭ সাল থেকে এই সমীক্ষা শুরু করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সেই সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৪. ৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। ৬৪.৬ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। ২২. ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী কখনই মোবাইল ব্যবহার করেনি। তামিলনাড়ুর একটি জেলার ক্ষেত্রে তা ৩.৫ শতাংশ। ২৭.১ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। ৫৯.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। কেরালার ক্ষেত্রে ০.৪ শতাংশ মোবাইল ব্যবহার করেনি, ১.৬ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করেনি এবং ১০.৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি।
অর্থনীতিকে ভিত্তি করে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৮.৪ শতাংশের নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। যদিও এক্ষেত্রে দেশের গড়ের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কেননা জাতীয় গড় এক্ষেত্রে ৭৪.৩ শতাংশ। জেলার গড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৯.৬ শতাংশ এটিএম ব্যবহার করেছেন। ৩.২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং করে থাকেন। এই দুটির ক্ষেত্রে জাতীয় গড় যথাক্রমে ১৫.৭ শতাংশ এবং ৪.৬ শতাংশ।
তবে
বেশ
কিছু
ক্ষেত্রে
জাতীয়
গড়ের
ওপরেই
রয়েছে
দক্ষিণ
২৪
পরগনা
জেলা।
১৪
থেকে
১৮
বছর
বয়সীদের
৮৩.৬
শতাংশ
স্কুলে
নথিভুক্ত।
এক্ষেত্রে
জাতীয়
গড়
৭৯.৫
শতাংশ।
ইংরেজিতে
পড়তে
পারা
এবং
লিখিত
নির্দেশ
বুঝতে
পারে
৫৫.
৯
শতাংশ।
এক্ষেত্রে
জাতীয়
গড়
৫৩.৫
শতাংশ।
তবে
দেশের
রাজধানী
কিংবা
রাজ্যের
নাম
জানার
ক্ষেত্রে
পিছিয়ে
রয়েছে
দক্ষিণ
২৪
পরগনা।
রাজধানীর
নাম
জানেন
৫২
শতাংশ।
এক্ষেত্রে
জাতীয়
গড়
৬৪.১
শতাংশ।
নিজের
রাজ্যের
নাম
জানেন
৬৭
শতাংশ।
এক্ষেত্রে
জাতীয়
গড়
৭৮.৬
শতাংশ।
তবে জেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা কখনই রাজ্যের জন্য নয়। কেননা যেখানে ৬০টি গ্রামের ৯৫৬টি বাড়ির ১০৭৮ কিশোর-কিশোরীর ওপরে সমীক্ষা চালানো হয়, সেখানে রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তারা। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে পাওয়া সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার।