লকডাউনে একের পর এক বই লিখছেন পার্থ, সোশ্যাল মিডিয়ায় খিল্লি
লকডাউনে অফুরন্ত সময়। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে। লকডাউন নিষেধাজ্ঞার জেরে পার্টি অফিসে যাওয়ার দায় নেই। মাঝে ত্রাণ বিলির কাজে কিছুটা সময় ব্যয় হলেও, দিনে-রাতের বাকি সময় তো পড়ে রয়েছে।
লকডাউনে অফুরন্ত সময়। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে। লকডাউন নিষেধাজ্ঞার জেরে পার্টি অফিসে যাওয়ার দায় নেই। মাঝে ত্রাণ বিলির কাজে কিছুটা সময় ব্যয় হলেও, দিনে-রাতের বাকি সময় তো পড়ে রয়েছে। সেই সময়েই ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাজনৈতিক নেতারা। যেমন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একের পর এক বই লিখে চলেছেন তিনি।
'রাজভবনের অন্দরমহল'-এর লেখা শেষ
এই বইটির লেখা প্রায় বছর খানেক আগে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু সময়ের অভাবে সলেই বই লেখা এতদিন শেষ করতে পারেননি। কিন্তু লকডাউনই সেই সুযোগ এনে দেয়। লকডাউনের প্রথম ১২ দিনে এই বইটি লেখা শেষ করেছেন।
বইটিতে থাকছে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী থেকে শুরু করে জগদীপ ধনকর, মোট রাজ্যপালকে নিয়ে নানা কথা। যার মধ্যে বেশিরভাগচাই থাকছে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে ঘিরে। বইটিতে রাজ্যপালদের স্বভাবের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।
নতুন বই 'দশনেতার দশ কাহন'
নতুন একটি বই লেখার কাজে হাত লাগিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বইটির নাম দশ নেতার দশ কাহন। টার্গেচ আগামী বইমেলায় বইটি প্রকাশ করার। বইটির মূল বিষয় নিজের রাজনৈতিক জীবনে দেখা বিভিন্ন নেতাদের কথা। এই বইয়ে যেমন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি থাকছেন, ঠিক তেমনই থাকছেন সোমেন মিত্র। অবশ্যই বইটির অন্যতম চরিত্র হিসেবে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখা থাকবে সৌগত রায়, পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কি দীর্ঘ সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ থাকা সিপিএম নেতা হাসিম আব্দুল হালিমকে নিয়েও।
বই লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও
এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথা চলা নিয়ে বই লিখেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খিল্লি়
এদিকে বই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়াতেই খিল্লি শুরু হয়ে গিয়েছে। বইয়ের নাম কেন হবে না ঘাসফুলের অন্দরে কাটমানি, বাঁশের নাম স্কুল সার্ভিস কিংবা উন্নয়নের চোরাবালি হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেউ কেউ। তবে বেশিরভাগ ফেসবুক পোস্টেই কাটমানির কথাই উঠে এসেছে।