করোনার জেরে সিবিএসই-র দশমের পরীক্ষা বাতিল, কী হবে রাজ্যের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের, ইঙ্গিত করলেন পার্থ
করোনার জেরে সিবিএসই-র দশমের পরীক্ষা বাতিল, কী হবে রাজ্যের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের, ইঙ্গিত করলেন পার্থ
করোনা (coronavirus) পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক (madhyamik) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (higher secondary) পরীক্ষা নিয়ে সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সরকার। এদিন সিবিএসই-র (cbse) দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)।
পরীক্ষা বাতিলে রাজনৈতিক চাপ
দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। সেই সময়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে যাতে করোনার সংক্রমণ না হয়, তার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিবসেনা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিল। পরীক্ষা নিয়ে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। এঁদের মধ্যে কারও দাবি ছিল পরীক্ষা বাতিলের আবার কারও দাবি ছিল পরীক্ষা পিছনোর জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে সিদ্ধান্ত
এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়েছে, জুনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন সিবিএসসির কর্তাদের সঙ্গে। তারপর এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
রাজ্য আগেই চিন্তাভাবনা করেছে
এদিন সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্য সরকার আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করেছে। আগে থেকেই স্যানিটাইজেশন ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সব নিয়ম কানুন নিয়ে সরকারি বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্যদের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিত শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
জুনে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল জুন মাসে মাধ্যমিত ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়া হবে। রাজ্য সরকার আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে পরীক্ষাগুলি জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে চলে গিয়েছে। এদিন তিনি বলেছেনয়, পরিস্থিতির বদল না হলে সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্যবিধি তো আগে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের বছর যাতে নষ্ট না হয়, সেটাও দেখতে হবে। এর মাঝামাঝি একটি ব্যবস্থা সমাধান সূত্র বের করেই এগোনো হবে। এরপরেই যদি পরীক্ষা না নেওয়া যায়, তাহলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির টার্গেট কলকাতার ৫০ শতাংশ আসন, একুশের ভোটে মমতাকে মাত দিতে পরিকল্পনা