সিবিআইয়ে রক্ষে নেই ইডি দোসর, কেষ্টর চাপ বাড়াতে এবার অন্য কৌশল
সিবিআইয়ে রক্ষে নেই ইডি দোসর, কেষ্টর চাপ বাড়াতে এবার অন্য কৌশল
গরু পাচার কাণ্ডে আরও চাপ বাড়ল কেষ্টর। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুুমত পেল ইডি। সায়গল হোসেনের কাছে কেষ্টর একাধিক তথ্য রয়েছে বলে অনুমান তদন্তেকারীদের। সায়গলকে জেরা করলেই কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির হদিশ এবং টাকার উৎস্য সম্পর্কে অনেক তথ্য তাঁরা জানতে পারবেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সায়গলকে জেরা করবে ইডি
গরুপাচার
কাণ্ডে
অন্যতম
অভিযক্ত
সায়গল
হোসেনকে
জেরা
করার
অনুমতি
পেল
ইডি।
গতকাল
আসানসোলে
সিবিআইয়ের
বিশেষ
আদালতে
সায়গল
হোসেনকে
জেরা
করার
অনুমতি
চেয়েছিল
ইডি।
এদিনে
সিবিআইয়ের
বিশেষ
আদালত
তাঁদের
অনুমতি
দিয়েছে।
ইডির
দাবি
গরুপাচারের
টাকা
দিয়েই
বিপুল
সম্পত্তি
তৈরি
করেছিলেন
অনব্রত
মণ্ডলের
দেহরক্ষী
সায়গল
হোসেন।
সিবিআই
চার্জশিটে
সায়গল
হোসেনের
৪৫টি
সম্পত্তির
ডিডে
কেষ্টর
নাম
পেয়েছে
বলে
জানিয়েছিল।
সেই
থেকেই
মনে
করা
হচ্ছে
কেষ্টর
গরুপাচারের
টাকা
দিয়েই
এই
বিপুল
সম্পত্তি
পেয়েছে
সায়গল
হোসেন
এমনই
দাবি
করেছে
ইডি।
পুজোর সময় জেরা
পুজোতেও কেষ্টকে রেহাই দিতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আদালতের অনুমতি পেতেই আর দেরি করতে রাজি নয় ইডি। সূত্রের খবর দিল্লি থেকে ইডির বিশেষ দল আসছে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে সায়গল হোসেনের স্ত্রী এবং মাকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। তাঁদের অভিযোগ ছিল সায়গল হোসেন জেলে থাকার সময়ও তাঁর একাধিক সম্পত্তির হাত বদল হয়েছে। স্ত্রী এবং মায়ের নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হাতবদল হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির।
চাপে কেষ্ট
গরুপাচার কাণ্ডে কেষ্টকে হেফাজতে নেওয়ার আগে তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পরেই বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। একাধিক বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট রয়েছে সায়গল হোসেনের নামে। সায়গলের একাধিক সম্পত্তির ডিডে আবার কেষ্টর নাম রয়েছে। অর্থাৎ এই বিপুল সম্পত্তি যে কেষ্টরই দান সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সায়গলকে জেরা করলে কেষ্টর আরও বেনামি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি।
কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির হদিশ
ইতিমধ্যেই সায়গল হোসেন এবং অনু্ব্রত মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে ইডি। তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা। কেষ্ট মুখ খুলতে নারাজ। তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না তিিন। পুজোতে কেষ্টকে জেলেই থাকতে হবে। এদিকে পুজোতেও বোলপুরের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের। বোলপুরে সেকারণে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেরায় একাধিক অসঙ্গতি, ফের ইডির তলবের মুখে পড়তে পারেন পার্থের জামাই