
অনুব্রত মণ্ডলের টাকার হদিশ পেতে মরিয়া ইডি, আজই দিল্লিতে তলব কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে এখনও সক্ষম হয়নি ইডি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দিল্লিতে ডেকে দফায় দফায় জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। আজই দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে। বোলপুরে এক চালের মিলের মালিক তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। সেই টাকার হদিশ পেতেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে জেরা করতে চাইছে তদন্তকারীরা।

অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে তলব
একদিকে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। কিন্তু আদালতের আটকে রয়েছে সেটা। এদিকে এই সুযোগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে তার বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সোমবারেই দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী। সঞ্জীব মজুমদার নামে সেই ব্যবসায়ীর চালের মিল রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি এই চালে মিলেও অনুব্রত মণ্ডলের কালো টাকার েলনদেন হয়েছে।

ইডির নজরে সঞ্জীবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
বোলপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব মজুমদারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেষ্টর টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন অনুব্রত মণ্ডল ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারের অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা ট্রান্সপার করেছিলেন। সেই টাকা কিসের এবং কেন তাঁর অ্যাকাউন্টে অনুব্রত মণ্ডল ট্রান্সফার করেছিলেন তা জানতেই তলব করা হয়েছে সঞ্জীব মজুমদারকে। বোলপুরে চালকলের মালিক তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে তাঁর।

কেষ্টর লটারি কানেকশন
অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হিসেব জানতে গিয়ে লটারি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করেছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেষ্ট এবং তাঁর পরিবারের ৫ সদস্যের নামে কয়েক কোটি টাকার লটারি জেতার ঘটনা ঘটেছে। অনুব্রত মণ্ডল নিজে ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রীর নামেও লটারি টাকা উঠেছিল। সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্টেও লটারির টাকা জমার তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপর সুকন্যা মণ্ডলকে িদল্লিতে ডেকে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা।

কোটি টাকার লটারি কেনার অভিযোগ
অনুব্রত মণ্ডলের লটারি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। বীরভূমে বড় শিমূলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর আলির কাছ থেকে জোর করে ১ কোটি টাকার লটারির টিকিট
কিনেছিলেন তিনি। ১ কোটি টাকার লটারি পেয়েছিলেন নূর আলি। সেই টাকা পেতে মরিয়া কেষ্ট রীতি মত ভয় দেখিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা দিয়ে নূর আলির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল সেই লটারি।