লটারি কাণ্ডের মাঝেই ইডি তৎপরতা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে দিল্লিতে তলব
লটারি কাণ্ডের মাঝেই ইডি তৎপরতা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে দিল্লিতে তলব
গরুপাচার কাণ্ডে চাপ বাড়াচ্ছে ইডি। লটারি কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে ইডির। নাম জড়িয়েছে কেষ্টকন্যার। তারই মাঝে বোলপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। আগামীকাল দিল্লিতে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিন দফায় জেরা করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে তলব
অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। তাঁকে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগেও বিশ্বজ্যোতি মণ্ডলকে জেরা করেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক কাজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জেরা করে একের পর এক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে একাধিক জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে। তারপরেই ইডি তলব করা হয়েছে তাঁদের।
লটারি কান্ড
এরই মধ্যে আবার অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লটারি কাণ্ডের যোগ পাওয়া গিয়েছে। ১ কোটি টাকার নাকি লটারি পেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডল যে লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে লটারি কিনেছিলেন সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। লটারি বিক্রেতার দোকানে সিবিআই অফিসাররা তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা এই নিয়ে জেরা করেছেন লটারির দোকানের কর্মীদের। কোথা থেকে টাকার লেনদেন হচ্ছে তা নিয়ে জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
লটারি কাণ্ডে সুকন্যা যোগ
লটারি জেতার ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নাম জড়িয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুই দফায় ৫১ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অর্থাৎ এই সব টাকাই লটারির টাকা বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আরও ৩টি লটারির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অনুনব্রত কন্যার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও আরো কারোর অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা পড়েছে কিনা তা তদন্তকরে দেখা হচ্ছে। সুকন্যার অ্যাকাউন্টে যদি ২টি লটারির টাকা জমা পড়ে। ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল।
লটারির আড়ালে কি কালো টাকার লেনদেন
লটারির আড়ালে গরুপাচারের কালো টাকার লেনদেন হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহই সেদিকে এগোতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে দফায় দফায় দিল্লির দফতরে ডেকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যাকে জেরা করে বেশি কিছু তথ্য হাতে পায়নি তদন্তকারীরা। সুকন্যা বারবারই দাবি করেছেন যে সব কিছু তাঁর বাবা জানে। এদিকে অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ তিওয়ারিকে জেরা করে এই তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
এ কী কাণ্ড! জল সংরক্ষণ করার বার্তা দিতে গিয়ে মদ, গাঁজা সেবন করতে বললেন বিজেপি নেতা