মুকুলকে নোটিশ ইডির, ‘অশুভ’ সংকেত ফের উসকে দিল তৃণমূল-যোগের জল্পনা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। সারদা, রোজভ্যালি কিংবা নারদ-কাণ্ডে যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের কোণঠাসা করা হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠল ইডি। তা নিয়েঅ জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
মুকুল রায়কে কোণঠাসা করার প্রয়াস
শুক্রবার ইডি নির্দেশ দিয়েছে, মুকুল রায়কে সাতদিনের মধ্যে একাধিক নথিপত্র জমা দিতে হবে নারদ-কাণ্ডে। ইডি জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাঠাতে হবে ইডি দফতরে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি মুকুল রায়কে কোণঠাসা করার এটাও একটা প্রয়াস। এর ফলে মুকুল রায়ের ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ইডির নির্দেশ জারি ফের জল্পনা উসকে দিয়েছে
মুকুল রায় সম্প্রতি সমস্ত জল্পনা খারিজ করে দিয়ে জানান, তিনি বিজেপিতেই আছেন। বিজেপিতেই থাকবেন। তারপরও তাঁর উপর ইডির নির্দেশ জারি ফের জল্পনা উসকে দিয়েছে। রা্জনৈতিক মহল মনে করছে, মুকুল রায়কে চাপরে রাখতেই ইডি্কে দিয়ে এই নির্দেশ পাঠানো হতে পারে। যাতে মুকুল রায় তৃণমূলে পা বাড়ানোর আগে দু-বার ভাবে।
ইডির পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা মুকুল রায়?
মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডির এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ মুকুল রায়। গত জুলাই মাসে নারদকাণ্ডে জড়িত সমস্ত নেতা-নেত্রীকেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বাদ ছিলেন শোভন ও মুকুল। এবার মুকুল রায়কে পাঠানো হল নোটিশ। বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার পরও নোটিশ পেয়ে নীরব মুকুল।
নারদ-কাণ্ডে ইডির স্ক্যানারে মুকুলও
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ভিডিও প্রকাশের পর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তৃণমূলের নেতারা ইডির জেরার মুখোমুখি হয়। তারপর সবশেষে এখনও তৃণমূলে থাকা সমস্ত নেতা-নেত্রীদেরই আয়-ব্যয় ও সম্পতির হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। এবার মুকুল রায়কে পাঠানো হল। শোভন আগেই জমা দিয়েছিলেন বলেন তাঁকে আর নোটিশ পাঠানো হয়নি।