মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরে দুর্নীতিতে জড়িত রাজ্য সরকার! অধীরের করা মামলায় তল্লাশি ইডির
মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরে দুর্নীতিতে জড়িত রাজ্য সরকার! অধীরের করা মামলায় তল্লাশি ইডির
সকাল থেকেই ইডির তল্লাশি চলছে কেভেন্টার্সের কলকাতা অফিসে। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরে দুর্নীতির অভিযোগেই এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে। এই মামলায় রাজ্যের বেশ কয়েকজন আমলা জড়িয়ে বলে অভিযোগ। বিদেশেও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেভেন্টার্সের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে মেট্রোর পুরো শেয়ার হাতে পায় কেভেন্টার্স
২০১৭ সালে রাজ্য সরকার মেট্রো ডেয়ারিতে তাদের হাতে থাকা ৪৭ শতাংশ শেয়ার কেভেন্টার্স অ্যাগ্রোকে বিক্রি করে দেয়। সেই সময় শেয়ারের হাত বদলে দুর্নীতির হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাম জমানায় ১৯৯০-এর দশকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিল্ক প্রোডিউসার্স ফেডারেশন (বেনমিল্ক) এবং ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর সঙ্গে যৌথভাবে মেট্রো ডেয়ারি তৈরি করেছিলে কেভেন্টার্স অ্যাগ্রো। পরে ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তাদের হাতে থাকা ১০ শতাংশ শেয়ার কেভেন্টার্সকে বিক্রি করে দেয়। কেভেন্টার্সের হাতে সেই সময় ছিল ৫৩ শতাংশ শেয়ার।
দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অধীর
মেট্রো ডেয়ারির বেসরকারিকরণে বড় দুর্নীতির অভিযোগ করে ২০১৯-এ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আদালতে অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, একটি বেসরকারি সংস্থাকে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার সামান্য দামে রাজ্য সরকার বিক্রি করে দেওয়ার পরে তার একটা অংশ মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশের একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দিয়েছিল ওই বেসরকারি সংস্থা। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ ছিল ওই বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা করে দিতেই সরকারি প্রকল্পে বিপুল ক্ষতি করেছে রাজ্য সরকার।
টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডির অভিযোগ সিঙ্গাপুর থেকে ১৭০ কোটি টাকার বেশি হস্তান্তর করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৮৫ কোটি টাকা মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার কিনতে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বাজারে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ারের দাম ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি। এব্যাপারে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বেসরকারি সংস্থার নাম উঠে আসছে। এদেশেই কোনও প্রভাবশালী টাকা খেটেছিল সেই সময়। এমনটাই সন্দেহ করছেন ইডির আধিকারিকরা।
অভিযোগ অস্বীকার রাজ্য সরকারের
যদিও এ ব্যাপারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলে রাজ্য সরকার। ইডির তরফে রাজ্যের চার সচিবের লিখিত জবাব তলব করা হয়েছিল। ২৯ টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাব দেয় সরকার। যদিও ইডির সূত্রে খবর বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যে চার আমলা। অন্যদিকে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল লাভ হোক কিংবা লোকসান ( সেই সময় লাভেই চলছিল মেট্রো ডেয়ারি) দুধের ব্যবসায় রাজ্য সরকার থাকবে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। তাই শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভার। তাই আমলাদের দায় নেই এতে। রাজ্যের দাবি ছিল নামী অডিটর সংস্থাকে দিয়ে অডিট করিয়ে তবেই মেট্রো ডেয়ারি বিক্রি করা হয়েছিল। দুবার টেন্ডার ডেকেও কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি, তাই কেভেন্টার্সকে বিক্রি করা হয়।
'যদি আগামিকাল রজনীকান্ত সিদ্ধান্ত নেন...', থালাইভার মত বদলে ঝড় তামিল রাজনীতিতে!