একযোগে রাজ্যের ১২ জায়গায় তল্লাশি ইডির! গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে আরও স্পষ্ট 'দুবাই যোগ'
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে এক যোগে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ২১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। আর্থিক তছরুপের হদিশ পেতে এই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ব্যবসায়ীদের বাড়িতে এই অভিযান চালাচ্ছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, কয়ালা পাচার-কাণ্ডে এ রাজ্যের সঙ্গে দুবাই-যোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।


কোথায় কোথায় তল্লাশি?
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ২০টি গাড়ি করে ইডি অফিসারেরা রাজ্যের নানা জায়গায় অভিযানে নেমেছেন। লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর, লেকটাউনের ৩টি বাড়িতে তল্লাশি চলছে। অন্য দিকে গাড়িয়া, শ্রীরামপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোলের ইসিএল কর্মী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কেন্দ্রীয় অফিসারেরা হানা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে।

পাচার তদন্তে তিন আইপিএস অফিসারকে ডেকেছিল সিবিআই
এর আগে গরু এবং কয়লা পাচার তদন্তে তিন আইপিএস অফিসার-সহ পশ্চিমবঙ্গের মোট ছয়জন পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের অফিসে তলব করেছিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই তিন জন এবং আরও তিন পুলিশ আধিকারিক, যাঁরা এখন ইন্সপেক্টর বা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পদে কর্মরত, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের অফিসে তলব করে সিবিআই। যদিও সিবিআইকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে তলবের কারণ জানতে চান আইপিএস অফিসাররা।

কাদের ডেকেছিল সিবিআই
এই তিনজন আইপিএস অফিসারদের মধ্যে একজন হলেন কল্লোল গনাই যিনি এখন রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর জেনারেল ব়্যাঙ্কে কর্মরত। এর আগে ছিলেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনেরাল। দ্বিতীয়জন, হলেন আসানসোল- দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সদর), অংশুমান সাহা, যিনি এর আগে ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট। তৃতীয়জন, হলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার, তথাগত বসু যিনি এর আগে ছিলেন হুগলি জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।

সিআইএসএফ, রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাতেন লালা
সিবিআই সূত্রে খবর, এদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে গরু এবং কয়লা পাচার সংক্রান্ত আরও অনেক তথ্য এবং নথি পাওয়ার আশা করছে কেদ্রীয় তদন্তকারী দল। আরও অনেক প্রভাবশালীর নামও উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে তারা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাতেন লালা।