অর্পিতার পর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থকে জেরা, কোন তথ্যের খোঁজে ইডির আধিকারিকরা
অর্পিতার পর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থকে জেরা, কোন তথ্যের খোঁজে ইডির আধিকারিকরা
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা করলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের মহিলা সেলে গিয়ে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করা হয়। বয়ান রেকর্ড করা হয়। বুধবার প্রেসেডিন্সি জেলের পয়লা বাইশ ব্লকের ২ নম্বর সেলে গিয়ে রাজ্যের হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেরা করল ইডি।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ান খতিয়ে দেখতে চাইছে। জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি আধিকারিকদের কাছে অনেক কিছুই জানিয়েছেন। সেই তথ্যের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ান খতিয়ে দেখাই তাঁদের উদ্দেশ্য। সেইমতো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ান খতিয়ে দেখবেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। ১২ দিন ইডি হেফাজতে কাটানোর পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ এদিনই শেষ হচ্ছে দু'জনের। বৃহস্পতিবার তাঁদের তোলা হবে ব্যাঙ্কসাল কোর্টে ইডির স্পেশ্যাল এজলাসে। তার আগে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
আদালত পার্থ ও অর্পিতাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর পর জানিয়ে দিয়েছিল, প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তাঁরা জেরা করতে পারবেন। সেইমতো জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষের দিনে জেরা চলল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মূলত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যে সমস্ত তথ্য পেয়েছেন, তা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী বলেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
গত ২৪ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাতভর জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে। তারপর গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ক। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রচুর বিদেশি মুদ্রা, বিপুল পরিমাণ সোনাদানা। আর উদ্ধার হয় বিপুল সম্পত্তি। যৌথ সম্পত্তিও উদ্ধার হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। অনেক ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়ির সন্ধান মেলে। এখন ওই সম্পত্তি বিষয়ক তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা। তাই হেফাজতের শেষ দিনে ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করল ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু এরই মাজে ইডি এই মামলায় ঢুকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় এবং তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয়। তারপর একের পর এক পর্দা ফাঁস হতে থাকে।