নারদ মামলায় চার্জশিট ইডির, বিপাকে তৃণমূলের চার নেতা-মন্ত্রী-সহ ৫ জন
নারদ মামলায় (narad case) চার্জশিট পেশ করল ইডি(ed)। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee) এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (madan mitra), শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ( sova
নারদ মামলায় (narad case) চার্জশিট পেশ করল ইডি(ed)। রাজ্যের তৃণমূল (trinamool congress) সরকারের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee) এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (madan mitra), শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ( sovan chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও। তাঁদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে বলা হয়েছে ১৬ নভেম্বর সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের সামনে হাজিরা দিতে।
বিধানসভার মাধ্যমে সমন তিনজনকে
তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আইপিএস এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে সমন জমা দিয়েছে ইডি। অন্যদিকে দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে সমন বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পিএমএল অ্যাক্টের ৩ ও ৪ নম্বর ধারায় নেতা ও প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে আসে নারদ কাণ্ড
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে বিজেপির অফিস থেকে নারদ কাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। যা নিয়ে সেই সময় শোরগোল পড়লেও, তা বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে স্টিং অপারেশন তৈরির দায়িত্বে থাকা ম্যাথু স্যামুয়েল-সহ অন্যদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে ও নজরদারিতে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। পরে ইডিও এব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। বুধবারই বিষয়টি নিয়ে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হল।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে হুলস্থুল
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পরে ১৭ মে-র ভোটে অভিযুক্ত চার নেতা ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee), মদন মিত্র (madan mitra), শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ( sovan chatterjee) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। কলকাতার সদর দফতর নিজামপ্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পরে, তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপরে সেইদিনই নিজাম প্যালেসের সামনে ভিড় করেন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মামলাকে প্রভাবিক করার অভিযোগ তুলে সিবিআই-এর তরফ থেকে নারদ মামলা ভিন রাজ্যে স্থানান্তরিত করার আবেদন করা হয় হাইকোর্টে।
তৃণমূলের তরফে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
এদিকে নারদ মামলায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এব্যাপারে ইডিকে নিশানা করেছেন। তাঁর অভিযোগ এই মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এব্যাপারে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
মমতা নয়, বাঙালি বিজেপি নেতাকে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন দেব! তৃণমূল সাংসদের 'বেফাঁস' মন্তব্যে জল্পনা