টেট পাশ করাতে ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন মানিক! আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির
টেট পাশ করাতে ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন মানিক! আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির
নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে! সেই মতোই আজ বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দীর্ঘ জেল হেফাজত শেষে আজ ফের একবার আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতির 'কিংপিন' মানিক ভট্টাচার্যকে। আদালতে মানিকের তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও তীব্র বিরোধীতা করা হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য আদালতকে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে কয়েক দফাতে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। যা তদন্তের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত তদন্তকারীদের।
একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
মামলার শুনানিতে এদিন মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় ইডি। তাঁরা জানায়, কলামন্দিরে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে রাজ্যের একাধিক বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের তরফে আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকের মাধ্যমেই কার্যত তোলাবাজি করা হয়েছে বলে কার্যত বিস্ফোরক দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজগুলিকে নিয়োগের জন্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে বলা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এভাবে অন্তত ২.৬৪ কোটি টাকা মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল বলে জানান গোয়েন্দারা।
৩.২৫ কোটি টাকা মানিক নিয়েছিলেন
শুধু তাই নয়, টেট পরীক্ষাতে পাশ করানোর জন্যে মোটা অঙ্ক মানিক নিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাতে ৩২৫ জনকে পাশ করানোর অভিযোগ উঠেছিল। আর এজন্যে ৩.২৫ কোটি টাকা মানিক নিয়েছিলেন বলেও দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ইতিমধ্যে ৩০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে বলেও দাবি ইডির আইনজীবীর। তবে সংখ্যটা আরও বাড়তে পারে বলেও মত তাঁর। ইতিমধ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকে বড়সড় দুর্নীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, কলেজগুলিকে এনওসি দিতেও ২০ কোটি টাকা টাকা তোলা হয় বলে আদালতে দাবি ইডি।
ফের একবার জামিনের আবেদন
অন্যদিকে এদিন মানিকের তরফে ফের একবার জামিনের আবেদন জানানো হয়। মানিক আইনজীবী মারফৎ আদালতে জানান, , তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব? ফলে যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদপ্ন জানান মানিক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী সংস্থাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করবেন বলেও জানান তিনি। যদিও ইডির তরফে দাবি, উনি প্রভাবশালী। ওনার জামিনে মামলা প্রভাবিত হতে পারে বলেও সওয়ালে জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
মেঘালয়ের ভোটই পাখির চোখ তৃণমূলের! অভিষেকের পরেই সে রাজ্য পা রাখছেন মমতাও