নিয়ম মেনেই হয়েছে চার্জশিট, স্পিকারের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না! চিঠি দিয়ে স্পিকারকে জানাল ইডি
নারদ মামলায় বিধায়কদের নামে চার্জশিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরমে উঠছে সংঘাত! বিশেষ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বনাম রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই বিধানসভার অধ্যক্ষ ইডি এবং সিবিআই আধিকা
নারদ মামলায় বিধায়কদের নামে চার্জশিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরমে উঠছে সংঘাত! বিশেষ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বনাম রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই বিধানসভার অধ্যক্ষ ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের তলব করে।
আজ বুধবার হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষের ডাকে সাড়া দেননি কোনও ইডি আধিকারিক।
শুধু তাই নয়, বিধানসভাতে আসেননি কোনও সিবিআই আধিকারিকও। যা নিয়ে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
যদিও ইডির তরফে একজন প্রতিনিধিকে বিধানসভাতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, একটি চিঠি দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি সরাসরি অধ্যক্ষ বিমান বসুর ঘরে না গিয়ে বিধানসভার সচিবের কাছে পৌঁছে যান।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের তরফে পাঠানো চিঠি সচিবের হাতে তুলে দেন ওই প্রতিনিধি। তবে ওই চিঠিতে কি লেখা রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে ওই ব্যক্তি কিছু জানাতে চাননি।
তবে জানা গিয়েছে, এই চিঠিতে এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এভাবে তলব করতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ আধিকারিকরা নিচ্ছেন বলেও আধিকারিকরা চিঠি মারফৎ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন।
পাশাপাশি আর্থিক তছরুপ মামলায় নিয়ম মেনেই চার্জশিট করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে। এমনটাই সূত্রে খবর। সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে, ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।
বলে রাখা প্রয়োজন ইডির তরফে স্পিকারকে দেওয়া চিঠি এটি দ্বিতীয়। এর আগেও এনফোর্সমেণ্ট ডিরেক্টরেটের তরফে স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়। নতুন করে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে চার্জশিট দিতে গিয়ে বিধিভঙ্গ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই৷ এই অভিযোগেই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জরুরি ভিত্তিতে তলব করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়লেও সে বিষয়ে অধ্যক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি৷ এ ভাবে অধ্যক্ষকে এড়িয়ে বিধানসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া যায় না বলেও দাবি করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই মূলত সংঘাত তৈরি হয়। যদিও স্পিকারের ডাকে সারা দিচ্ছেন না আধিকারিকরা।
নারদ মামলাতে গত কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টপাধ্যায়কে। সেই সময়েও বিধায়কদের গ্রেফতার করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, স্পিকারের অনুমতি না নিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে।