দিল্লির ইডি অফিসে ফের জেরা অনুব্রত কন্যাকে, সিবিআই দফতরে হাজিরা কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কেরিম খানের
দিল্লির ইডি অফিসে ফের জেরা অনুব্রত কন্যাকে, সিবিআই দফতরে হাজিরা কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কেরিম খানের
ফের দিল্লির অফিসে হাজিরা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্য এবং মণীশ কোঠারির সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে ইডি অফিসাররা। এরই মাঝে আবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খানকে জেরা করছে সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ডে ক্রমশ ফাঁস শক্ত করছে তদন্তকারীরা।
ফের সুকন্যাকে জেরা
বৃহস্পতিবার েফর ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল। গতকাল প্রথম দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাজিরার আগেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গর হোসেনকে। সুকন্যার নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার টাকার উৎসের সন্ধানেই এই জেরা বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল ম্যারাথন জেরার পর আজ ফের দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে অনুব্রত বেআইনি অর্থের উৎসের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
কার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা সুকন্যাকে ?
সুকন্যার পাশাপাশি এদিন জেরা করা হচ্ছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য এবং অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে। অনুব্রতর যাবতীয় আয়ের উৎস জানতেন মণীশ কোঠারি। তাঁর বাড়িতে বেশ কয়েকবার তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারীকরা। তাঁরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মণীশ কোঠারির বাড়ি থেকে পেয়েছিল। গরু পাচারে টাকা কোথায় খাটানো হবে। কীভাবে সেটার বিনিয়োগ করা হবে সেটা পুরোটাই হিসের বাখতেন মণীশ কোঠারি। সেকারণেই অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই দফতরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান
একদিকে যখন দিল্লিতে ইডির জেরা চলছে সুকন্যা সহ মণীশ কোঠারী ও রাজীব ভট্টাচার্যকে। অন্যদিকে ঠিক তেমনই কলকাতায় সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে অনুব্রত ঘণিষ্ঠ কেরিম খানকে। বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান। তিনি আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন। তদন্তকারীদের দাবি নানুর দিয়ে যে গরু পাচার করা হত তার দায়িত্বে ছিলেন কেরিম খান। সেই তথ্য জানতেই কেরিম খানকে তলব করা হয়েছে। সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে কেরম খান বলেছেন, আগে সিবিআই প্রমাণ করে দেখাক।
জাল গোটাচ্ছে তদন্তকারীরা
একদিকে জেলে অনুব্রত। আরেকদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ সকলকে তলব করে দফায় দফায় জেরা করছে ইডি-সিবিআই। তদন্তের জাল গোটাতেই এই তৎপরতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির েমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেও গরুপাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে খুব বেশি মুখ খোলাতে পারেননি তদন্তকারীরা। যাকে বলে তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেকারণে হয়তো বারবার তাঁর মেয়েকে জেরা করে অনুব্রতর উপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন তাঁরা।
'মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা পাঠানো হত বোর্ড অফিসে', ইডি অফিসে হাজিরার আগে ভোল বদল তাপসের